বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল ৮টা থেকে ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে অসংখ্য বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ পাশ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় দু’দলই পুলিশ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে মুচলেকা দিয়ে সংঘর্ষ বন্ধ করে।
দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষে মিন্টু নামের এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে মজিবর রহমান, হাবিব মাতুব্বর, পুলিশ সদস্য লিওন, ডাবলু মাতুব্বর, হেলো ও মোতালেব মাতুব্বরের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়। সংঘর্ষকারীরা ঢাল, শরকি, কালি, কাতরা, টেটা এবং সড়কের ইটসহ দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে, হেলমেট পরিধান করে ঘন্টাব্যাপী মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত থাকে।
জানা যায়, সাইমন মাতুব্বর ও কুদ্দুস মাতুব্বারের লোকজন গত শুক্রবার একটি জমি মাপার শালিশ করেছেন। রোববার বিকেলে সেই শালিশের রায় দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু বৈঠকের কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় দু’দল গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের উপর হামলা চালায়। বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলতে থাকে, এতে প্রায় ৬০ জন আহত হয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ হোসেন জানান, “দ্বিতীয় দিনের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমি পাশ্ববর্তী কয়েকটি গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। যাতে আর কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, তার জন্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...