বিজ্ঞাপন
সোমবার (৩ নভেম্বর) নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন।
নড়াইল জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এস. এম. আব্দুল হক জানান, রায়ে আশা বেগম ও আরাফাত শেখকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অপর আসামি রোমানকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় রোমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মামলার আরেক আসামি শাবানা বেগমকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। মোট ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর রাতে মাসুম ফকির বাড়িতে না ফেরায় তাঁর স্ত্রী মোবাইলে ফোন দেন। তখন মাসুম জানান, “আমি একটু পরে আসতেছি।” কিন্তু কিছুক্ষণ পর পুনরায় ফোন করলে তাঁর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। সেই রাতে পরিবারের সদস্যরা আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাননি।
পাঁচ দিন পর, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ সকালে লোহাগড়া থানার নলদী ইউনিয়নের জালালসী গ্রামের তপন বিশ্বাসের বাড়ির দক্ষিণ পাশে নবগঙ্গা নদীর উত্তর তীরে চরের ওপর একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে নলদী পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে নড়াইল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। পরবর্তীতে নিহতের পরিবার লাশটি মাসুম ফকিরের বলে সনাক্ত করে।
পরে নিহতের ভাই মো. শহিদুল ফকির বাদী হয়ে ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে নড়াইল সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রায় নয় বছর পর আদালত আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
প্রতিবেদক- মো. নূরুন্নবী সামদানী, নড়াইল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...