বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে দলীয় নমিনেশন উপলক্ষে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ২৬নং কবুতরমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে নিহত মারুফের সঙ্গে একই এলাকার শাহজামালের গায়ে ধাক্কা লাগে। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি শান্ত হলেও রাতে মিছিল শেষে মারুফ বাড়ি ফেরার পথে আঃ সাত্তারের চায়ের দোকানের সামনে ওতপেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী ‘ভোরের বাণী’কে বলেন, “আমি এবং আলমাছ আলী নামের এক লোক মারামারি থামানোর চেষ্টা করলে হত্যাকারীরা আমাদেরও মেরে ফেলার হুমকি দেয়। রাতের অন্ধকারে অনেককেই চিনতে পারিনি। আমাদের কারও কাছে ফোন না থাকায় তখন থানায় খবর দিতে পারিনি। পরে স্থানীয় এক দলীয় নেতা রাত ১টার দিকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় মারুফের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। নকলা থানা পুলিশ রাত ২টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।”
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে নিহতের বাবা হানিফ উদ্দিন ওরফে হানি মিয়া বাদী হয়ে নকলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
নিহত মারুফের বাবা হানি মিয়া বলেন, “আমার ছেলেকে যারা পিটিয়ে হত্যা করেছে তাদের বিচার চাই। এমন নৃশংস হত্যাকারীরা যেন আইনের বাইরে যেতে না পারে।”
নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, “ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ছয়জনকে আসামি করে মামলা রুজু হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ আমিনুল ইসলাম। তিনি দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রতিবেদক- মোঃ আরিফুর রহমান, শেরপুর।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...