বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। একই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত ঘটনাগুলোর তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে স্থায়ী বহিষ্কারের প্রক্রিয়া শুরুর ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে গঠিত তথ্যানুসন্ধান কমিটি ১২৮ জন শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে রিপোর্ট জমা দেয়। গত ১৭ মার্চ ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় তাদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।”
পরে অধিকতর তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির দ্বিতীয় সভায় আরও ৩৮৫ জন শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়, যার মধ্যে আগের ১২৮ জনও অন্তর্ভুক্ত।
প্রকাশিত তালিকায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ মোট ৩৮৫ জনের নাম রয়েছে।
প্রক্টর অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “কৃত অপরাধের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না- তার কারণ দর্শিয়ে লিখিত জবাব বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৭ (সাত) কার্য দিবসের মধ্যে প্রক্টর অফিসে লিখিত জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক আপনাদের বিরুদ্ধে একতরফা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
সূত্র জানায়, প্রশাসন শিগগিরই স্থায়ী বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বিষয়টি সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...