Logo Logo

নির্মাণ শুরুর ছয় বছর পর গোমা সেতুতে বসলো স্প্যান


Splash Image

অবশেষে ছয় বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাকেরগঞ্জ উপজেলার রাঙ্গামাটি নদীর উপর নির্মিত গোমা সেতুতে স্প্যান বসানো সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে এ স্প্যান স্থাপনের মধ্য দিয়ে লাখো মানুষের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নিতে শুরু করেছে।


বিজ্ঞাপন


উপজেলার দুধল ইউনিয়নের গোমা বাজার সংলগ্ন এলাকায় নির্মিত এই সেতুটি স্থানীয়ভাবে “গোমা সেতু” নামে পরিচিত। বরিশালের দিনারেরপুল–লক্ষ্মীপাশা–দুমকি আঞ্চলিক সড়কের অংশ হিসেবে নির্মিতব্য এ সেতু বাকেরগঞ্জ, দুমকি ও পটুয়াখালী জেলার কয়েকটি উপজেলার মানুষকে সরাসরি সংযুক্ত করবে।

দীর্ঘ ছয় বছর ধরে সেতুর স্প্যান বসানোর অপেক্ষায় ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মঙ্গলবার সকালে স্প্যান বসানো শুরু হলে এলাকাজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। স্থানীয় শত শত মানুষ নদীর পাড়ে জড়ো হয়ে এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করেন। কেউ কেউ আনন্দে চোখের পানি লুকাতে পারেননি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলের মানুষকে পারাপারের জন্য খেয়া বা ফেরির ওপর নির্ভর করতে হতো। এতে করে জরুরি সময়—বিশেষ করে রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া কিংবা শিক্ষার্থীদের সময়মতো বিদ্যালয়ে পৌঁছানো—ছিল এক কঠিন সংগ্রাম। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকলে জনজীবন পুরোপুরি থমকে যেত।

গোমা সেতু চালু হলে এ অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা। সেতুটি চালু হলে বরিশাল থেকে পটুয়াখালীগামী সড়কপথ আরও সহজ ও দ্রুত হবে, পাশাপাশি আঞ্চলিক বাণিজ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবায় আসবে নতুন গতি।

এলাকার এক প্রবীণ নাগরিক ভোরের বাণীকে বলেন, “গোমা সেতু শুধু কংক্রিটের কাঠামো নয়, এটি আমাদের জীবনের স্বপ্ন। আজ সেই স্বপ্নের প্রথম আলো দেখলাম।”

সরকারি কর্মকর্তারা জানান, স্প্যান বসানো শেষে সেতুর বাকি অংশের কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়া হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের মধ্যেই গোমা সেতুটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।

প্রতিবেদক- মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বরিশাল।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...