বিজ্ঞাপন
দলীয় মনোনয়ন ঘিরে শিবচর আসনে যেন তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক ‘ক্ল্যাশ অব দ্যা টাইটান’। শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন বিএনপির দুই হেভিওয়েট নেতা কামাল জামান মোল্লা ও সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দীকী। শেষ পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে কামাল জামান মোল্লা দলীয় মনোনয়ন পেলেও তাতেই বাঁধে বিপত্তি।
গত সোমবার সন্ধ্যায় মনোনয়নপ্রাপ্তির খবরে ক্ষুব্ধ হয়ে সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দীকীর সমর্থকরা ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের পাচ্চর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এতে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।
এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন এক অধ্যায় শুরু হয়। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে কামাল জামান মোল্লার নিষিদ্ধ ঘোষিত দল আওয়ামী লীগের কিছু নেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে একাধিক ছবি। এতে করে স্থানীয় বিএনপি কর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
অন্যদিকে, সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দীকী তাঁর সমর্থকদের আশ্বস্ত করে জানান—তিনি মনোনয়নপ্রাপ্ত না হলেও সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাবেন এবং নির্বাচনে অংশ নেবেন। তাঁর বক্তব্যে উজ্জীবিত হয়ে আবারও মাঠে নামেন সমর্থকরা।
পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় মঙ্গলবার রাতে বিএনপি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে “অনিবার্য কারণবশত” মাদারীপুর-১ আসনের দলীয় মনোনয়ন স্থগিত ঘোষণা করে। এ সিদ্ধান্তের পর উল্লাসে ফেটে পড়ে সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দীকীর সমর্থকরা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দলীয় সিদ্ধান্তের সমন্বয়হীনতা ও প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাবেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণ মানুষ মনে করেন, এ ব্যর্থতার দায় কেন্দ্রীয় নেতাদের ওপরই বর্তায়—যদি শুরুতেই সমন্বিত ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো, তবে পরিস্থিতি এ পর্যায়ে পৌঁছাত না।
এখন শিবচরের রাজনীতিতে বিরাজ করছে থমথমে উত্তেজনা। স্থানীয়রা বলছেন, “এই আসনে এখনো কিছুই শেষ হয়নি।”
রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন একটাই—‘ক্ল্যাশ অব দ্যা টাইটান’-এর এই লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসবেন, নাকি দেখা যাবে নতুন কোনো মুখ? শিবচরবাসী এখন তাকিয়ে সেই উত্তরের দিকেই।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...