বিজ্ঞাপন
জমির মালিক রুস্তুম আলী হাওলাদার জানান, তার পিতা মরহুম চেরাগ আলী হাওলাদার ও মাতা ফকরুনন্নেছা বেগমের কবরস্থানসহ তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি রক্ষায় তিনি জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। অভিযোগ জানানোর পর থেকেই প্রতিপক্ষের পক্ষ থেকে মিথ্যা মামলা ও প্রাণনাশের হুমকির মুখে তার পুত্র কবির হাওলাদার আত্মগোপনে রয়েছেন।
এই ঘটনায় রুস্তুম আলী হাওলাদার বরিশালের বিজ্ঞ বাকেরগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানি মোকদ্দমা দায়ের করেছেন। মামলার নম্বর—৫৫/২০২৫।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালে রুস্তুম আলী হাওলাদার তার স্ত্রী ফরিদা বেগমের নামে নিজ বাড়ির সামনে মকিমাবাদ মৌজার ৯৪ নম্বর ও ১৩৭ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ১২ শতাংশ জমি ললিত বেপারীর কাছ থেকে ক্রয় করেন। এর আগে ফারুক হাওলাদারের কাছ থেকে একই দাগে আরও ২২ শতাংশ জমি ক্রয় করে সেখানে পুকুর খনন ও বৃক্ষরোপণ করে ভোগদখল করেন। উক্ত জমির পাশে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে রুস্তুম আলীর পিতা-মাতা ও দুই নাতিকে দাফন করা হয়েছে।
রুস্তুম আলীর পুত্র মো. কবির হাওলাদার বলেন, “আমাদের পারিবারিক কবরস্থানসহ প্রায় ৩২ শতাংশ জমি দখলে নেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন চরাদি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ডাকুয়া। কয়েকদিন আগে তার নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি দল আমাদের জমিতে থাকা গাছ কেটে কবরস্থানে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দখলের চেষ্টা চালায়। আমরা বাধা দিতে গেলে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।”
অভিযোগ অস্বীকার করে জাকির হোসেন ডাকুয়া বলেন, “২০২৩ সালে আমি একজন হিন্দু ব্যক্তির কাছ থেকে (নাম মনে নেই) ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি। দক্ষিণ পাশে আমার সেই জমির সীমানায় সাইনবোর্ডে অন্য মালিকদের নামও লেখা আছে। কবরস্থান দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
চরমদ্দি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আলমগীর হোসেন জানান, “গাছ কাটার বিষয়ে ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করি এবং কাটা গাছ স্থানীয়ভাবে জিম্মায় রাখি। উভয় পক্ষকে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে বা আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা আফরোজ বলেন, “সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে কবরস্থান দখলের বিষয়ে অবগত হয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।”
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান মিজান বলেন, “যেহেতু এটি জমিজমার বিষয়, তাই আদালতের এখতিয়ারেই সমাধান হবে। তবে কেউ যদি দলীয় পদ ব্যবহার করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে, তদন্তের পর তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...