বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, মৃতরা হলেন কাঁঠালিয়া উপজেলার মৌলজালিয়া ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের মো. সরা বালির ছেলে ফরিদ হোসেন (৩০) এবং একই এলাকার আব্দুল আলির ছেলে ষাটোর্ধ্ব তোকাবালি। তারা দুজনই বুধবার রাতে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য শাহনাজ পারভীন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ৫ জন, নলছিটি হাসপাতালে ১ জন, রাজাপুর হাসপাতালে ১৬ জন এবং কাঁঠালিয়া হাসপাতালে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ৬৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।
নিহত তোকাবালির পরিবার জানায়, তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে কাঁঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। অপরদিকে ফরিদ হোসেনকে কাঁঠালিয়া হাসপাতাল থেকে প্রথমে ভাণ্ডারিয়া হাসপাতাল এবং পরে বরিশাল নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এসব ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।
ঝালকাঠি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, “জেলায় দুজন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেলে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী সনাক্ত হয়েছে রাজাপুর উপজেলায়।”
চিকিৎসকরা বলছেন, এ বছর বর্ষার স্থায়িত্ব বেশি হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। শুধু শহর নয়, উপজেলার গ্রামাঞ্চলেও দ্রুত হারে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাদের মতে, ডেঙ্গু মোকাবেলায় চিকিৎসার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, আক্রান্ত এলাকা ও পানি জমা স্থানগুলোতে নিয়মিত তল্লাশি ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি মশার বংশবিস্তার রোধে ঘরবাড়ি ও আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...