বিজ্ঞাপন
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে রাহাত হাসান কাইয়ুম নকলা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে বিনামূল্যে প্রণোদনা সুবিধার তালিকায় নিজের পছন্দের নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে কর্মকর্তাকে মারধর করেন।
ঘটনার পরপরই নকলা উপজেলায় কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বৃহষ্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর দুইটায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উল্লেখ করেন, “আমরা সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কর্মস্থলে কিংবা রাস্তায় নিরাপদ নই। দলীয়ভাবে ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে, কিন্তু এখনও তাকে গ্রেফতার বা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়নি। যতক্ষণ অপরাধীর শাস্তি না হয়, আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।”
উক্ত ঘটনায় কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মোরসালিন মেহেদী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক, অফিসারস ক্লাব নকলা বলেন, “হামলার পরও অফিসিয়াল নিরাপত্তা নেই। তালিকায় ইচ্ছামতো নাম অন্তর্ভুক্ত করতে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল, কৃষি কর্মকর্তা রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করা হয়।”
হামলার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। শেরপুর খামারবাড়ীর উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “সরকারি দপ্তরে ঢুকে হামলা ও কর্মকর্তাকে মারধরের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
নকলা থানা পুলিশ জানিয়েছে, সরকারি কাজে বাধা, ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত রাহাত হাসানসহ দুজনকে আসামি করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘটনার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নকলা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাহাত হাসান কাইয়ুমকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করেছেন।
প্রতিবেদক- মোঃ আরিফুর রহমান, শেরপুর।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...