ছবি : সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রধান উপদেষ্টার পোস্টে বলা হয়, "সম্প্রতি মহলবিশেষ দাবি করছে, কমিশন আপ্যায়নে ৮৩ কোটি টাকা খরচ করেছে। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যাচার, এবং পরিকল্পিত প্রোপাগান্ডার অংশ।" পোস্টে কমিশনের মোট বাজেটের হিসাবও তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, ২০২৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কমিশনের মোট বাজেট বরাদ্দ ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর মধ্যে গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১২৬ টাকা, যা মোট বরাদ্দের মাত্র ২৩.৪৬ শতাংশ।
কমিশন আপ্যায়ন খাতের ৪৫ লাখ টাকার ব্যয়ের বিস্তারিত তথ্যও প্রকাশ করেছে। জানানো হয়, এই ব্যয়ের বড় অংশ রাজনৈতিক দলসমূহ, বিভিন্ন সংগঠন ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা বৈঠক এবং সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের জন্য করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পর্যায়ে (২০ মার্চ থেকে ১৯ মে) ৪৪টি বৈঠকে ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পর্যায়ে (ফরেন সার্ভিস একাডেমি) ২৩টি সভায় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা এবং তৃতীয় পর্যায়ের ৭টি বৈঠকে ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা খরচ হয়।
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, অন্যান্য বিশেষজ্ঞ বৈঠক ও অতিথি আপ্যায়নে বাকি অর্থ ব্যয় হয়েছে। এসকল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা কোনো প্রকার সম্মানী গ্রহণ করেননি।
কমিশন বলেছে, "৮৩ কোটি টাকার দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার পরিকল্পিত প্রচেষ্টা।" এই ধরনের অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রোপাগান্ডা চালানো মহল দ্রুত তাদের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...