Logo Logo

গাজীপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযান নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগ : সেনা বাহিনীর সংবাদ ব্রিফিং


Splash Image

গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ সাতজনকে আটক করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগ তুলেছে সেনাবাহিনী।


বিজ্ঞাপন


গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ সাতজনকে আটক করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগ তুলেছে সেনাবাহিনী। শুক্রবার সকালে গাজীপুর মহানগরের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ১৪ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো: লুৎফর রহমান।

গ্রেফতারকৃত মো: এনামুল হক মোল্লা (৫০) শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরকুল গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে। তিনি মক্কা নগরীর মেছপালা বিএনপির সভাপতি ও বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

গ্রেফতার অন্যরা হলো, শওকত মীর (৪৫), জাহিদ মিয়া (৪০), মোস্তফা কামাল (৩২), সিদ্দিকুর রহমান (৩৪), বুলবুল মিয়া (৩৫) ও তোফাজ্জল হোসেন (৪৫)।

ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, গত ৬ নভেম্বর ভোর রাতে গাজীপুর আর্মি ক্যাম্পের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পুলিশ ও র‍্যাবের প্রত্যক্ষ সহায়তায় শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নে একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় গাজীপুর জেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী তথা শ্রীপুর এলাকার ত্রাস, অবৈধ বালু উত্তোলনকারী এবং ডাকাত দলের সর্দার এনামুল হক মোল্লাকে তার নিজ বাসার পানির ট্যাংক এর ভিতর থেকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে তার আরও ৬ জন সহযোগীকেও যৌথ বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার করা হয়।

অভিযান চলাকালীন তল্লাশীর সময়ে তার কাছ থেকে ২ টি বিদেশী পিস্তল, ৩ টি ম্যাগজিন, ৪ রাউন্ড গুলি, ২ টি ইলেক্ট্রিক শক মেশিন, ৪ টি ওয়াকিটকি সেট এবং ২ টি লাইসেন্স বিহীন মোটরসাইকেলসহ বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এনামুল হক মোল্লার বিরুদ্ধে শ্রীপুর থানায় বেশ কয়েকটি ডাকাতি এবং অস্ত্র মামলা চলমান রয়েছে এবং কিছু কিছু মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্টও জারী করা হয়েছে।

সেনা কর্মকর্তা আরো জানান, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় একটি মহল এনামুল হক মোল্লার গ্রেফতারের বিষয়টিকে রাজনৈতিক রূপ দেয়াসহ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ভিন্ন খাতে অপপ্রচার করার চেষ্টা করছে।

এসময় তিনি বলেন, সেনাবাহিনী কোন ব্যক্তি বা দলের পক্ষে বা বিপক্ষে নয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব সময় ন্যায়ের পক্ষে এবং অন্যায়ের বিপক্ষে, সেনাবাহিনী দেশের পক্ষে। যারা এ ব্যাপারে অপপ্রচার করছে এবং অপপ্রচারের প্রশ্রয় দিচ্ছে, আমরা মনে করি এদেরও কোন না কোন ভাবে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। সে বিষয়টিকেও আমরা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখছি এবং প্রমাণ স্বাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।'

সেনা কর্মকর্তা আরো জানান, অভিযানের সময় আপনারা (সাংবাদিকরা) অনেকেই এই অপারেশনের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন এবং সকলেই অবগত আছেন যে, কিছু সার্থান্বেষী মহল তার বাসা থেকে ব্যক্তিগত কিছু সরঞ্জামাদি হারানো গিয়েছে বলে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। এরুপ মিথ্যা অপবাদ ছড়ানোর সাথেও যারা সংশ্লিষ্ট তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...