বিজ্ঞাপন
হরিরামপুর উপজেলা বনকর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শনিবার সকালে তিনি জানান, হরিরামপুর উপজেলার ধুলসুরা ও হারুকান্দি ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম এবং সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের নদীতে কুমিরটি দেখা যেত।
স্থানীয় কয়েকজন যুবক—রাহাত, অন্তর, রাকিব, আল আমিন, সুরুজ ও শাহিন—কুমির ধরার কাজে অংশ নেন। তারা জানান, প্রায় এক মাস আগে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়নের চরবংখুড়ি ও হরিরামপুর উপজেলার পদ্মার শাখা নদীর বোয়ালী, আইলকুন্ডি, খামারহাটি এবং হারুকান্দি ইউনিয়নের তন্ত্রখোলা এলাকায় কুমিরটি কয়েকবার দেখা গেছে।
এ ঘটনায় নদীপাড়ের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং অনেকে নদীতে নামা বন্ধ করে দেন। মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দীর্ঘদিন ধরে কুমিরটির অবস্থান পর্যবেক্ষণ করছিলেন স্থানীয় যুবকরা। শুক্রবার সকাল থেকে তারা কুমিরটি লক্ষ্য করেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে চৌকিঘাটা এলাকায় কুমিরটি পানির উপরে ভেসে উঠলে তারা দড়ির ফাঁদ দিয়ে কুমিরটিকে সফলভাবে ধরতে সক্ষম হন। কুমিরটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ফুট।
বনকর্মকর্তা মো. শরিফুল জানান, খবর পেয়ে ঢাকা থেকে উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা রওয়ানা হয়েছেন। কুমিরটিকে উদ্ধার করে খুলনায় নেওয়া হবে। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে প্রাণীটিকে পুনরায় মুক্ত করা হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...