ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
শফিকুল আলম বলেন, “সারাদেশে নির্বাচনের জোয়ার এসেছে। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টাসহ সবাই দিনরাত কাজ করছেন।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “মানুষ সুশাসন চায়, কিন্তু সেটি একদিনে আলোচনা করে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সংস্কার নিয়ে বিভিন্ন দেশে ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আলোচনা চলে। নির্বাচনের পর আবারও সংলাপ হতে পারে। নেপালে এমন সংস্কার করতে ৯ বছর লেগেছে।”
নারী ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, “অনেকে বলার চেষ্টা করেন যে, নারী-শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব নেই জুলাই সনদে। তাহলে রাজনৈতিক দলগুলো কি সব শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিত্ব করে না? সব কিছুই সনদে আছে।”
কর্মসংস্থান তৈরির বিষয়টি ভবিষ্যৎ সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এআই এখানে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।”
শফিকুল আলম জানান, “পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে রেল প্রজেক্টে। সব কিছু গোপালগঞ্জে টাচ করা হয়েছে। এসব কিছু করেছে শেখ হাসিনার চোরতন্ত্র। আগামী সরকারকে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে।”
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে শক্ত অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার ব্যাপারে সবাইকে স্পষ্ট বক্তব্য দিতে হবে। শেখ হাসিনা আজকেও বলেছেন, জুলাইয়ের আন্দোলনকারী সবাই সন্ত্রাসী। ১৮ কোটি মানুষকে সন্ত্রাসী বলে ক্ষমতায় আসতে চায় আওয়ামী লীগ। সন্ত্রাসী বলে দেশের মানুষকে হত্যাযজ্ঞ করতে চায়। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...