বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ তোলেন।
ফখরুল বলেন, “আমি আগেই বলেছি—এই অঞ্চলের সন্ত্রাসের গডফাদারদের নাম প্রকাশ করেছি। আবেদ আজ পর্যন্ত চ্যালেঞ্জ করতে পারেননি, কারণ আমার বক্তব্য সত্য। তিনি আমার মন্তব্যের প্রতিবাদও করেননি। আমরা জানি, তার ভাগের চাঁদার টাকা কার মাধ্যমে কোথায় যায়।”
আবেদের কর্মজীবনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, “চাঁদাবাজি ছাড়া তার সুনির্দিষ্ট কোনো পেশা নেই। আমি প্রায় ৪০ বছর ধরে ব্যবসা করছি, কিন্তু তিনি কি করেন? আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি—তার সুনির্দিষ্ট পেশা কেউ দেখাক। চাঁদাবাজি করতে করতে তিনি এখন বড় চাঁদাবাজ, গডফাদার।”
দলের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “আমাদের দলে কিছু কুচক্রী আছে—যারা দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে কাজ করে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাট করে দলকে বিতর্কিত করছে। আমি ১৪ মাস ধরে এসব বিষয়ে সতর্ক করে আসছি। এখন আমার মনোনয়নের কারণে ওই চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজদের জন্য এলাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছে, তাই তারা শঙ্কিত।”
তিনি বলেন, “৫ আগস্টের আগে বা পরে কোনো অনিয়মের সঙ্গে আমি জড়িত নই। কেউ প্রমাণ করতে পারলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমি কখনো অন্ধকার জগতের ব্যবসায় যুক্ত ছিলাম না, ভবিষ্যতেও হব না। এস আলমের ব্যবসার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
ফখরুল অভিযোগ করেন, “দলের কিছু নেতা ও কুচক্রী মিলে রাজনৈতিক মাঠ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছে। আমি জানি, কে কার কাছ থেকে চাঁদা নেয়, কোথায় দেয়, ভাগাভাগি হয় কাদের মধ্যে। দলের নামে যারা গডফাদার, তাদের তালিকা আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রকাশ করব।”
এ বিষয়ে জানতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই সেলিম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আফতাব আহমেদ বাচ্চু, বসুরহাট পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুল্যাহ আল মামুন প্রমুখ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...