Logo Logo

বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল, ২ দিনেও শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত।

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শনের দৃশ্য দেখা গেছে। সংঘর্ষ চলাকালে পিস্তল সদৃশ বস্তু হাতে এক যুবকের ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দুই দিন ধরে তারা ওই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে, তবে রোববার (৯ নভেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।


বিজ্ঞাপন


প্রসঙ্গত, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম ও বোয়ালমারী উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়ার নেতৃত্বে উপজেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত।

গত ৭ নভেম্বর ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে পৃথক কর্মসূচির আয়োজন করে দুই পক্ষ। ওইদিন বিকেলে বোয়ালমারী পৌরসভার সামনে মুখোমুখি হলে শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ। একপর্যায়ে নাসিরুলের সমর্থকরা হারুন শপিং কমপ্লেক্সের সামনে থাকা কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেন এবং ভবনের নিচতলায় শামসুদ্দিন মিয়ার কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। আশপাশের দোকানপাটেও হামলা হয়। সংঘর্ষে রামদা, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলাকারীদের দেখা গেছে।

এ ঘটনায় পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন।

সংঘর্ষের সময় ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আগ্নেয়াস্ত্র সদৃশ বস্তু হাতে এক যুবক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি সাদা ব্যাগ থেকে তিনি পিস্তল সদৃশ বস্তু বের করে আবার তা ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখছেন। মাত্র আট সেকেন্ডের ওই দৃশ্য ও কয়েকটি স্থিরচিত্র ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই শোডাউনটি করেন খন্দকার নাসিরুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা। ভিডিওতে দেখা যুবকের নাম শাহ মো. জাকারিয়া কাজী (২৫)। তিনি বোয়ালমারীর গুনবহা ইউনিয়নের উমরনগর গ্রামের মঞ্জুর কাজীর ছেলে এবং উপজেলা জিয়া প্রজন্ম দলের সাধারণ সম্পাদক।

বিষয়টি নিয়ে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, “ভিডিওতে যা দেখা গেছে সেটি আসল আগ্নেয়াস্ত্র নয়।” তিনি আরও বলেন, “তবে যদি কারও কাছে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র থেকেই থাকে, পুলিশ সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।”

অপরদিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনু অভিযোগ করে বলেন, “খন্দকার নাসিরুল ইসলাম শান্ত বোয়ালমারীকে অশান্ত করে তুলেছেন। সংঘর্ষে তার দুইজন সমর্থকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা গেছে।” তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও অস্ত্রধারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বলেন, “ওই ভিডিও ও ছবি আমি দেখেছি। তবে ব্যক্তিটিকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি।”

তিনি আরও বলেন, “আগ্নেয়াস্ত্র সদৃশ বস্তু বহনকারী ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে আমরা কাজ করছি। শনাক্ত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...