ঘোষেরহাট বাজারে হেমায়েত মোল্লা তার দোকানে সার বেচাকেনা করছেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্র জানায়, দোকানটির মালিক হেমায়েত মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করে আসছেন। এর আগে অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি অনুসন্ধান শুরু করেন। তবে তদন্ত চলাকালীন সময় আবারও তিনি সরেজমিনে গিয়ে একই অভিযোগের প্রমাণ পান।
দোকানটিতে সরেজমিনে দেখা গেছে, হেমায়েত মোল্লা স্থানীয় কৃষকদের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী মোড়লগঞ্জ উপজেলায় সার বিক্রির নিয়ম ভঙ্গ করে বেশ চড়া দামে বিক্রি করছেন।
মোড়লগঞ্জ উপজেলার চর-হোগলাবুনিয়া গ্রামের কৃষক মিজান বলেন, "আমি হেমায়েত মোল্লার দোকান থেকে ইউরিয়া ৩০ টাকা, ডিএপি ৩০ টাকা এবং এমওপি ২৫ টাকা কেজি দরে কিনেছি—যা সরকারি দামের চেয়ে অনেক বেশি।”
আঃ খালেক হাওলাদারের ছেলে আঃ কুদ্দুস হাওলাদার জানান, ডিএপি সার ৩৫ টাকা করে ২০ কেজির মূল্য ৭০০ টাকা দিয়েছেন হেমায়েত মোল্লা। একই গ্রামের ফজলু বলেন, “আমি সৌদিয়া সার ৩০ টাকা কেজি দরে ৮ কেজি কিনেছি।”
দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামের জয়নাল মাতুব্বরের ছেলে হারুন মাতুব্বর বলেন, “ডিএপি সার ৩৫ টাকা কেজি দরে ১০ কেজি কিনেছি, পরে ৫০ কেজির জন্য ১,৬০০ টাকা দিতে হয়েছে।” মিলবাড়ি এলাকার কৃষক অসিম মিস্ত্রি জানান, “আমি হেমায়েত মোল্লার কাছ থেকে ৫ কেজি সাদা সার ১৪০ টাকায় কিনেছি।”
অভিযোগ অস্বীকার করে হেমায়েত মোল্লা বলেন, "আমি সরকার নির্ধারিত মূল্যেই সার বিক্রি করছি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। এছাড়া খুচরা সার বিক্রি করতে আসলে ক্রেতার পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হয় না।”
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “এর আগেও তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছিল। এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় সার বিক্রি করা বৈধ নয়। তদন্ত শেষ হলে রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...