বিজ্ঞাপন
নিহত মাহফুজা একই গ্রামের শ্রমিক তৌহিদ বেপারী (৪০)-এর স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত তৌহিদ পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাহফুজা রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের দুর্গাবর্দি গ্রামের তোফেল বেপারীর মেয়ে। আর তৌহিদ মজুমদারকান্দি খালপাড় গ্রামের সোবাহান বেপারীর ছেলে এবং একজন শ্রমিক। সুখী দাম্পত্য জীবন গড়ার জন্য মাহফুজার পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের সময় জমি বিক্রি করে তৌহিদকে নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যে দাম্পত্য জীবনে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। সমস্যার সমাধানের জন্য আবারও অর্থ দেওয়া হয়েছিল মাহফুজার ভাইয়ের মাধ্যমে।
পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, রোববার রাতে তৌহিদের পরকীয়ার সম্পর্ককে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তীব্র ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মাহফুজা ঘর থেকে বের হয়ে গেলে ক্ষুব্ধ তৌহিদ খুঁজতে বের হন এবং হত্যার হুমকি দেন। পরের ভোরে পরিবারের লোকজন গলায় ওড়না পেঁচানো ও হাঁটু গেরে বসা অবস্থায় মাহফুজার মরদেহ একটি আমগাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
নিহত মাহফুজার ভাই সোবাহান বেপারী অভিযোগ করেন, “তৌহিদের সাথে এক নারীর সম্পর্ক আছে। এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই আমার বোনকে মারধর করতো। রোববার রাতেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে আমার বোনকে হত্যা করে গাছের সাথে ঝুলিয়ে রেখে তৌহিদ পালিয়ে গেছে। আমি মামলা করবো এবং আইনের কাছে সঠিক বিচার চাই।”
পরিবারের দাবি, হত্যার সময় তৌহিদসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। অভিযুক্ত তৌহিদের সাথে কথা বলার জন্য পুলিশ বাড়িতে গেলে ঘর তালাবদ্ধ এবং কোনো পরিবারের সদস্যকে পাওয়া যায়নি।
মাদারীপুরের রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাসুদ খান বলেন, “আমি সরেজমিনে গিয়েছিলাম। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এরপর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...