বিজ্ঞাপন
নিহতরা হলেন—সিরাজউদ্দিন খান (৭৫) ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগম (৬৫)।
জানা গেছে, নিহত সিরাজউদ্দিনের বাড়ি মহিপুর থানার মোয়াজ্জেমপুর গ্রামে, আর স্ত্রী আকলিমা বেগমের বাড়ি একই ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামে। তিনি সিরাজউদ্দিন খানের তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিরাজউদ্দিন খান দীর্ঘদিন ধরে আন্ধারমানিক নদীতে খেয়া (নৌকা) চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। নদীর তীরে একটি ঝুঁপড়ি ঘর তৈরি করে তিনি স্ত্রী আকলিমাকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করতেন।
স্থানীয় বাসিন্দা বাদল তালুকদার জানান, সকালে ফজরের নামাজের সময় সিরাজউদ্দিনকে না দেখে তিনি তাদের ঘরে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, সিরাজউদ্দিন মাটিতে পড়ে আছেন এবং তার স্ত্রী আকলিমা বেগম চৌকিতে শুয়ে আছেন। পরে তার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশে খবর দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, নিহত সিরাজউদ্দিনের গলার নিচে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালো দাগ দেখা গেছে। ঘরের মাটিতে রক্তের ছোপও পাওয়া গেছে। স্ত্রী আকলিমার শরীরেও রক্তের দাগ ছিল।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান জানান, “খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পটুয়াখালী থেকে সিআইডি টিম আসছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...