বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে কমিশনার জানান, ঢাকাবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, “১৩ নভেম্বর নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা প্রস্তুত আছি। ঢাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক ভালো। এপ্রিল-মে মাসে যে হারে ছিনতাই ও দিনের বেলায় চাপাতি হামলার ঘটনা ঘটত, এখন তা অনেক কমেছে। বিশেষ করে মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিক্ষোভ বা আন্দোলনেও পুলিশ সংযম দেখিয়েছে।”
কমিশনার আরও বলেন, “আমরা কোনো মারণাস্ত্র বা লাঠি ব্যবহার না করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। ডিএমপির নীতিই হচ্ছে– কোনো নাগরিকের গায়ে হাত তোলা যাবে না। মানুষ যদি দাবি নিয়ে আসে, আমরা তাদের বুঝিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পথেই সমস্যা সমাধান চাই।”
১৩ নভেম্বর রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ দলের সম্ভাব্য নাশকতার আশঙ্কা প্রসঙ্গে তিনি জানান, “একটি-দুটি মোটরসাইকেল থেকে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ সব ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের কাজ চলছে। ঢাকাবাসী আমাদের সঙ্গে আছে– তাই কোনো অঘটন ঘটলে তা মোকাবিলার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সদস্যরা কি সাম্প্রতিক নাশকতার সঙ্গে জড়িত? উত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “আমরা সম্প্রতি বেশ কয়েকজন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের পদধারী ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছি। গত সপ্তাহে শেরেবাংলা নগর এলাকায়ও এমন কিছু গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালিত হয়েছে।”
সিসিটিভি স্থাপনের প্রসঙ্গেও তিনি ঢাকাবাসীকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “গুলশানের মতো বিভিন্ন এলাকায় যেভাবে সমিতি উদ্যোগে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, অন্য এলাকাগুলোর বাসিন্দারাও যদি এভাবে উদ্যোগ নেন, তাহলে নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে।”
হাইকোর্ট এলাকায় নিরাপত্তা বিষয়ে কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, “মানুষ বিচার পাওয়ার জন্য আদালতে যায়। আমরা কখনোই বিচারপ্রার্থীদের বাধা দিতে চাই না। তবে নির্ধারিত দিনে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকাবাসীকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি, তারা সর্বদা নাগরিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সচেষ্ট রয়েছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...