পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত দুই দিনে পাকিস্তানে দুটি বড় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর একটি দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের ওয়ানা ক্যাডেট কলেজে এবং আরেকটি রাজধানী ইসলামাবাদে। এই ঘটনায় দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু অস্ত্রধারী দেশটিতে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
জিও নিউজের ‘আজ শাহজেব খানজাদা কে সাথ’ অনুষ্ঠানে খাজা আসিফ বলেন, “এই হামলাগুলোর পর সীমান্ত পার হয়ে আফগানিস্তানের ভেতরে অভিযান চালানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তালেবানের আশ্রয়ে থাকা গোষ্ঠীগুলোই বারবার আমাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।” তিনি আফগান তালেবান সরকারের হামলার নিন্দাকে “অবিশ্বাসযোগ্য” বলে প্রত্যাখ্যান করেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, “ভারত বা আফগানিস্তান কেউ যদি দুঃসাহস দেখায়, পাকিস্তান সমান জবাব দেবে। আমরা কখনো আগ্রাসন শুরু করব না, তবে আমাদের ওপর কোনো হামলা হলে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।”
ইসলামাবাদের আত্মঘাতী বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত এবং ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
এর আগে খাজা আসিফ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছিলেন, “আমরা এক ধরনের যুদ্ধের মধ্যে আছি। যারা মনে করছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী শুধু সীমান্ত এলাকায় লড়ছে, ইসলামাবাদের এই আত্মঘাতী হামলাই তাদের চোখ খুলে দেওয়ার মতো।” তিনি বলেন, সন্ত্রাসবিরোধী এই লড়াই সমগ্র পাকিস্তানের যুদ্ধ, আর সেনাবাহিনীর ত্যাগই জাতিকে নিরাপত্তা বোধ দিচ্ছে।
হামলার পর এক বিবৃতিতে তিনি আফগান তালেবান সরকারের সঙ্গে আলোচনার সাফল্য নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন, “কাবুলের নেতৃত্ব চাইলে পাকিস্তানে সন্ত্রাস রোধ করতে পারে। কিন্তু ইসলামাবাদে হামলার বার্তা এসেছে কাবুল থেকেই।”
রাজধানীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান আগেই এমন হামলার আশঙ্কা করেছিল। ইসলামাবাদের সন্ত্রাসী হামলা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে— “তোমাদের সব অঞ্চলই আমাদের নাগালের মধ্যে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান সীমান্ত বা শহর—কোথাও সন্ত্রাস সহ্য করবে না এবং প্রতিটি হামলার শক্ত জবাব দেওয়া হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
