Logo Logo

কোটালীপাড়ায় নোংরা পরিবেশে চলছে চানাচুর ও মোয়া তৈরি


Splash Image

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশি গ্রামে সরকারি অনুমোদন ছাড়াই নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিচালিত হচ্ছে চানাচুর, চিড়ার মোয়া, মুড়ির মোয়াসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরির ব্যবসা। দীর্ঘদিন ধরেই চলা এই অবৈধ কার্যক্রমে স্থানীয় বাজারে প্রতিদিনই সরবরাহ করা হচ্ছে নিম্নমানের এসব খাদ্যসামগ্রী—যা জনস্বাস্থ্যের জন্য সরাসরি হুমকি।


বিজ্ঞাপন


সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কয়েকজন শ্রমিক কোনো ধরনের সুরক্ষা নীতিমালা না মেনে খাদ্য উৎপাদন করছেন। উৎপাদনস্থলের চারপাশে ময়লা-আবর্জনা জমে আছে; শ্রমিকদের কারও হাত, পা বা মাথায় কোনো সুরক্ষাসামগ্রী নেই। কর্মরত শ্রমিক সুচিত্রা ও তানজিলা জানান, মাটিতে পলিথিন বা প্লাস্টিকের ব্যাগ বিছিয়ে খাদ্য প্রস্তুত করাই তাদের নিয়মিত কাজ। প্রতিষ্ঠানের কোনো ট্রেড লাইসেন্স বা বৈধ কাগজপত্র নেই বলেও তারা নিশ্চিত করেন।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক গনেশ চন্দ্র সাহার সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি খোলাখুলিভাবেই স্বীকার করেন, “আমার কাছে কোনো কাগজপত্র নেই। আমি অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করি।”

তার ছেলে রাজীব চন্দ্র সাহা আরও বলেন, “আমরা বছরের পর বছর এই ব্যবসা করছি। কেউ আমাদের ব্যবসা বন্ধ করতে পারেনি। আমরা ব্যবসা এভাবেই চালিয়ে যাবো।”

এ ধরনের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন নিয়ে জেলার নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে গোপালগঞ্জ জেলা নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মুন্নী খানম বলেন, “অবৈধভাবে পরিচালিত ওই খাদ্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানটি অচিরেই বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।”

এই ঘটনায় খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমাতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।

প্রতিবেদক- কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জ।।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...