বিজ্ঞাপন
মৃত রাবেয়া বেগম লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের শেখপুর গ্রামের সর্দার বাড়ির শামছুল হুদার স্ত্রী।
নিহতের ছেলে রাজন হোসেন জানান, দুই মাস আগে বাড়ির উঠানে পা পিছলে পড়ে বাম হাতের কব্জির ওপরে ভেঙে যান তার মা। স্থানীয় এক ডাক্তারের প্লাস্টার করার পর দুই মাস পর এক্স-রে করে দেখা যায় হাড় পুরোপুরি না জোড়া লাগায় নতুন করে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়ে। পরে মাইজদীর প্রাইম হসপিটালের ডাক্তার ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে ৭৫ হাজার টাকায় অস্ত্রোপচারের জন্য চুক্তি হয়।
শনিবার সন্ধ্যায় রাবেয়াকে হাসপাতালে নেওয়ার পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। সেখানে অ্যানেসথেসিয়ান গোলাম হায়দার রোগীকে অজ্ঞান করেন। রাজনের দাবি, অজ্ঞান করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তার মায়ের মৃত্যু হয়, কিন্তু বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গোপন করে।
তিনি জানান, অজ্ঞান করার এক ঘণ্টা পর রোগীকে আইসিইউতে নেওয়া হয় বলে জানালেও প্রকৃতপক্ষে তখনই তার মৃত্যু হয়েছিল। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবারকে রাবেয়া বেগমের মৃত্যুর খবর দেয়।
রাজনের অভিযোগ, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কখনো বলেছে হাই প্রেসারের কারণে, আবার কখনো বলেছে লো প্রেসারের কারণে এমন হয়েছে। প্রকৃত সত্য তারা গোপন করেছে।”
রোববার সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিবারকে জানায়—অপারেশন, আইসিইউ বা অ্যাম্বুলেন্সের কোনো খরচ পরিশোধ করতে হবে না, মরদেহ নিয়ে যেতে হবে। পরে দুপুর সোয়া ১টার দিকে নিহতের বড় ভাই ও জেঠা সমঝোতার মাধ্যমে মরদেহ গ্রহণ করেন। রাজন দাবি করেন, তিনি এখনো জানেন না কী ধরনের সমঝোতা হয়েছে।
মাইজদী প্রাইম হসপিটালের সিনিয়র এজিএম শিপন শাহ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “অপারেশনের পর রোগীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। ভুল চিকিৎসার অভিযোগ সত্য নয়। রোগীর স্বজনদের বলা হয়েছে—আপনারা মামলা করতে চাইলে করতে পারেন।”
নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডাক্তার মরিয়ম সিমি জানান, “এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রাবেয়া বেগমের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। পরিবার যথাযথ তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ দাবি করেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...