বিজ্ঞাপন
রোববার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বার্তা প্রেরক হিসেবে স্বাক্ষর করেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ফরিদপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম রোমানকে সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন। একই সঙ্গে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো রূপ সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩২ বছর বয়সী খাইরুল ইসলাম ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বাসিন্দা। ২০১৮ সালে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে ছাত্রদল মনোনীত ভিপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি পরাজিত হন। সম্প্রতি ২৫ অক্টোবর গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী ও শরীয়তপুরসহ বৃহত্তর ফরিদপুরে খাদ্য অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক পদে পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে তিনি আলোচনায় আসেন।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় খাইরুল ইসলাম বলেন, “আমাদের মহাসচিব এক ব্যক্তিকে ধমক দিয়েছেন। আমি রোববার দুপুরে ওই ভিডিওটি আমার ফেসবুকে শেয়ার করেছিলাম—এটাই আমার অপরাধ। রাজনীতিতে সহনশীলতা ও পরম সহিষ্ণুতার কোনো বিকল্প নেই। ওই ব্যক্তি বা কর্মীও তো আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। তাদের প্রতি সহনশীল থাকা আমাদের জন্য জরুরি।”
উল্লেখিত ভিডিওতে দেখা যায়, একটি জনাকীর্ণ ভবনের ভেতরে হাঁটার সময় মির্জা ফখরুলের কাছে একজন ব্যক্তি এগিয়ে এসে বলেন, “আমাকে চিনছেন নাকি?”—এ কথা শোনার পরই মহাসচিব তাকে তিরস্কার করে ধমক দেন। ভিডিওটি সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...