বিজ্ঞাপন
রোববার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর শহরের অম্বিকা ময়দানে কর্মী সমাবেশ আয়োজন করেন ইছার সমর্থকেরা। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সৈয়দ মোদাররেছ আলী।
সমাবেশের ব্যানারে লেখা ছিল— ‘৩১ দফা বাস্তবায়নে ধানের শীষের পক্ষে কর্মী সমাবেশ’। ফরিদপুর–৩ (সদর) আসনের কর্মীবৃন্দের ব্যানারেই এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বিভিন্ন স্লোগান ও ফেস্টুনে উঠে আসে ইছাকে প্রার্থী হিসেবে চাওয়ার আহ্বান। ফেস্টুনে লেখা ছিল— ‘যোগ্য নেতা ইছা ভাই, এমপি হিসেবে তাকে চাই’, ‘রাজপথের ইছা ভাই, আমরা তোমাকে ভুলিনি’, ‘দুর্দিনে পাশে ছিলেন ভাই, এমপি হোক ইছা ভাই’।
সমাবেশে ফরিদপুর সদরের ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার নেতারা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কাদের। বক্তব্য দেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক শহীদ পারভেজ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল আনাম, জেলা যুবদলের সভাপতি রাজীব হাসানসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, ইছা ভাই ৪৭ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিপদে–আপদে সব সময় তাকে পাশে পাওয়া গেছে। তিনি জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তাই ফরিদপুর–৩ আসনে তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বক্তাদের দাবি, ইছাকে মনোনয়ন দিতে হবে, অন্যথায় ফরিদপুর–৩ আসনের জনগণ এ সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মোদাররেছ আলী ইছা সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “আপনারা আমাকে ফরিদপুর–৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান— এ প্রত্যয় ও দাবি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আমি আপনাদের মনোনীত ও আকাঙ্ক্ষিত প্রার্থী— এর জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে আপনাদের সঙ্গে আন্দোলন–সংগ্রাম করেছি। আপনাদের প্রত্যাশার কথা অবশ্যই সাংবাদিকদের মাধ্যমে বিএনপির হাইকমান্ডের কাছে পৌঁছাবে। দলীয় মনোনয়নে হাইকমান্ডের যে সিদ্ধান্ত আসবে, আমি সেটাই মেনে নেব।”
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর–৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের মেয়ে নায়াব ইউসুফকে। গত ৩ নভেম্বর এ মনোনয়ন ঘোষণা করে দল। মনোনয়ন ঘোষণার ১৩ দিন পর আজ কর্মীবৃন্দের ব্যানারে ইছাকে প্রার্থী করার দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...