বিজ্ঞাপন
নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী লিপি বেগম রোববার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, শামসুল শেখের প্রথম স্ত্রীর দুই ছেলে রনি শেখ (৩২) কানাডা এবং রাকিব শেখ রাজ (২৭) স্পেনে বসবাস করেন। গত বছর রনি ফরিদপুর সদরের কানাইপুর এলাকার নাজমুল হাসানের দুলাভাইকে টাকার বিনিময়ে বিদেশে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা সম্ভব না হওয়ায় নাজমুলের পক্ষ থেকে রনির পরিবারের ওপর অতিরিক্ত টাকা ফেরত চাওয়ার চাপ তৈরি হচ্ছিল।
নাজমুলের সঙ্গে জড়িত অভিযোগ তুলে শামসুলের প্রথম স্ত্রী রিনা বেগম বলেন, “রনি আমার ছেলেকে বিদেশে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারেনি। এজন্য তারা যে টাকা দিয়েছিল তার চেয়েও বেশি টাকা ফেরত চাইছিল। গতকাল বিকেলে নাজমুল হাসান, স্থানীয় বিএনপি কর্মী মো. সোহেল শেখ, মনির পাটোয়ারী ও তুজাম শেখ আমাদের বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে গালিগালাজ ও মারধর করেন। স্বামী হার্টের রোগী এবং ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। মারধরের পরও তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আমরা পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলেও তিনি ভোরে মারা যান।”
নিহতের ছেলে রাকিব শেখ বলেন, “আমাদের কাছে টাকা অনেক আগেই দেওয়া হয়েছিল। তবে ৬ মাস আগে সোহেল জোর করে আমার বাবার কাছ থেকে একটি সাদা স্ট্যাম্পে সই নেন। এরপর আবার নতুন করে ৬ লাখ টাকা দাবি করা হয়। আমরা বিদেশে থাকায় পরিবারের নীরব চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছিলাম। তারা ক্ষমতাশালী হওয়ায় আমরা কিছুই করতে পারিনি।”
চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ত.ম. মাসুদ পারভেজ বলেন, “বৃদ্ধের পরিবারের সঙ্গে বিদেশে পাঠানোর জন্য টাকার লেনদেন ছিল। তবে কারও বাড়িতে গিয়ে মারধর করা আইনবিরোধী। পুলিশ অভিযোগ খতিয়ে দেখবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আলম জানান, “নিহতের স্ত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...