বিজ্ঞাপন
রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। সকাল থেকে ঢাকার বিভিন্ন চৌক ও মোড়ে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। গাড়ি ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
ঢাকার গুলিস্তান, পল্টন, শাহবাগ, মগবাজার ও মালিবাগ এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, গণপরিবহনগুলো অর্ধেক বা তার কম যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। সাধারণত বাসগুলোতে যাত্রীরা দাঁড়িয়ে চলাচল করেন, তবে আজ এমন দৃশ্য দেখা যায়নি।
শাহবাগের ফুল ব্যবসায়ী তোফাজ্জল মিয়া বলেন, “জনমনে এখনো ফ্যাসিস্ট সরকারের ভীতি দূর হয়নি। ওরা যেকোনো সময়ে হামলা চালাতে পারে। সেই ভয়ে আজ অনেকেই ঘর থেকে বের হয়নি। শাহবাগে পা রাখার জায়গা নেই, সেই জায়গা এখন করোনাকালীন লকডাউনের মতো ফাঁকা।”
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “রায় ঘোষণার দিনটি ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল থেকে ঢাকার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”
ঢাকাবাসীর নিরাপত্তার জন্য রাজধানীতে প্রায় ১৫ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, গতকাল রোববার ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ১৮টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। তেজগাঁও টার্মিনাল এলাকায় ট্রেনে আগুন দেওয়ার চেষ্টার সময় এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...