Logo Logo

শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের কাছে আবারও চিঠি পাঠানো হবে : আইন উপদেষ্টা


Splash Image

ছবি : সংগৃহীত।

গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য ভারতের কাছে আবারও চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।


বিজ্ঞাপন


সোমবার বিকেলে আইন মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. আসিফ বলেন, “আমরা শেখ হাসিনাকে দেশে প্রত্যর্পণের জন্য ভারতের কাছে আবারও চিঠি লিখব। ভারত যদি এই গণহত্যাকারীকে আশ্রয় দেওয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে ভারতকে বুঝতে হবে এটি বাংলাদেশ ও দেশের মানুষের বিরুদ্ধে শত্রুতা এবং নিন্দনীয় আচরণ।”

ড. আসিফ আরও উল্লেখ করেন, “আজকে একটি বিচার হয়েছে। ইনশাল্লাহ আমরা যতদিন আছি, বিচারকার্য পূর্ণ বেগে চলবে।”

পৃথক এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, “শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড। শোকর আলহামদুলিল্লাহ।”

এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত বছরের জুলাই-অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনাকে পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুইটিতে মৃত্যুদণ্ড ও একটিতে আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় দেন।

ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই রায় ঘোষণা করেন। অন্যান্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

রায় ঘোষণার সময় জনাকীর্ণ আদালতে আইনজীবীরা ছাড়াও জুলাই-অগাস্টে নিহতদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আদালতে ঢাকা, যাত্রাবাড়ী, রামপুরা, বাড্ডা, সাভার, আশুলিয়া, রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের উপর প্রাণঘাতী গুলির ব্যবহার ও হত্যার ভিডিও ও তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থার বিভিন্ন প্রতিবেদন পড়ে শোনানো হয়।

বেলা সোয়া একটার দিকে গণঅভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনার বিভিন্ন টেলিফোন আলাপ, বিশেষ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে কথোপকথনও আদালতে শোনানো হয়।

এই মামলার অন্য দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এই তিন আসামির মধ্যে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান পলাতক রয়েছেন এবং বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন।

মামলার একটি অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে অ্যাপ্রুভার (রাজসাক্ষী) হওয়ায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিল।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...