প্রতীকী ছবি।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার বিকেলে জারি করা আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা এবং সাতক্ষীরা জেলার নিম্নাঞ্চল ও সংলগ্ন চরসমূহ জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করছে। এটি আজ সন্ধ্যার মধ্যেই উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে এবং ধীরে ধীরে দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই নিম্নচাপের কারণে উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। ঘূর্ণাবর্ত কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা ও ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চল ও নদীর মোহনায় বসবাসরত বাসিন্দাদের প্রতি স্থানীয় প্রশাসন থেকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ঘূর্ণিঝড় “সিত্রাং”-এর মতো পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা করছেন অনেকেই, বিশেষত যেসব এলাকায় বাঁধ দুর্বল কিংবা নদীভাঙন প্রবণতা বেশি, সেখানে ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি বলে মনে করছেন স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...