বিজ্ঞাপন
রোববার আফিয়া ও তার মা মনিরা বেগম থানায় উপস্থিত হন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আদালতের আদেশ পাওয়া মাত্রই ডিএনএ পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে।
শুধু তাই নয়, যদি আফিয়া মোজাফফরের সন্তান হিসেবে প্রমাণিত হন, তাহলে মিথ্যা অপবাদ, স্ত্রী ও সন্তানের প্রতি অবহেলা এবং পরিত্যাগের অভিযোগে মোজাফফরের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
আফিয়ার মা মনিরা বেগম বলেন, “তিন বছরের শিশু আফিয়ার বাবা থাকতেও আজ নেই। আফিয়ার গায়ের রং শ্বেত হওয়ায় তাকে ছেড়ে চলে গেছে মোজাফফর। এতদিন নানা উপায়ে বোঝানোর চেষ্টা করেছি, কিন্তু সে উল্টো আমাকে হুমকি দিত। তখন পাশে কেউ ছিল না বলে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারিনি। এখন অনেকেই সহযোগিতা করছেন ন্যায়বিচার পেতে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “শুক্রবার আমাদের বাড়িতে পুলিশের একটি টিম আসে এবং নানা বিষয়ে খোঁজখবর নেয়। ওসি স্যার আমাকে রোববার থানায় আসতে বলেছিলেন, তাই এসেছি। আমার সঙ্গে কথা বলেছে। আফিয়া আমার ও মোজাফফরের সন্তানের হওয়া সত্ত্বেও তিন বছর ধরে মিথ্যা কলঙ্ক মাথায় নিয়ে ঘুরতে হয়েছে। আমি চাই সত্যটা স্পষ্ট হোক। শুধু তাই নয়, মোজাফফরের বিচার হোক।”
কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, “আফিয়ার বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার আমাকে দ্রুত ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে আফিয়া ও তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এই প্রক্রিয়ায় রাজি হয়েছেন। লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আদালতে আবেদন জানানো হবে। আদালতের আদেশ পাওয়ার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...