Logo Logo

সাজেদা হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দায়িত্বহীনতার নতুন চিত্র


Splash Image

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাজেদা হক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি সংকট, শৃঙ্খলার দুর্বলতা, শিক্ষক অনুপস্থিতি এবং প্রশাসনিক জবাবদিহির ঘাটতি মিলিয়ে সামগ্রিক শিক্ষা পরিবেশ ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে ৫ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও সেদিন উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২ জন—সহকারী শিক্ষিকা নুরানী বেগম এবং সহকারী শিক্ষক মোজাম্মেল হক। একই দিনে অনুপস্থিত ছিলেন ৩ জন শিক্ষক—ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুন্নাহার, একজন শিক্ষক নৈমিত্তিক ছুটিতে এবং শিক্ষক কামরুল লায়লা। উপস্থিত শিক্ষকরা বিশেষ করে শিক্ষক কামরুল লায়লার অনুপস্থিতির কারণ জানাতে পারেননি।

অনুপস্থিত শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে কেউই স্পষ্টভাবে কথা বলতে চাননি। কেউ ফোন রিসিভ করেও বক্তব্য এড়িয়ে গেছেন, আবার কেউ সাক্ষাৎকার দিতে সরাসরি অনীহা প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ—“একই দিনে তিন শিক্ষক অনুপস্থিত থাকা এবং আবার কারও বক্তব্য না পাওয়া— এটা চরম দায়িত্বহীনতার প্রকাশ।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বকশীগঞ্জের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার সাইদুর রহমান বলেন— “আমি বকশীগঞ্জে নতুন এসেছি। এখনো দশটি স্কুলও ভালোভাবে চিনি না। আমাকে একজন ফোন দিয়েছিল, বলে যে তার ছুটি লাগবে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকও এ বিষয়ে কথা বলেছিলেন। প্রথমে আমি ছুটি দিতে চাইনি, পরে অনেক অনুরোধের পরে বলেছি—আচ্ছা, তবে স্কুল যেন ঠিকমতো চলে, পাঠদানে যেন বিঘ্ন না ঘটে। আমি কোনোদিন এক দিনে তিনজনকে ছুটি দিইনি।”

অন্যদিকে, এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রেজাউল করিম বলেন— “একই দিনে তিনজন শিক্ষকের ছুটি অনুমোদন করা আমাদের নিয়মের ভিতর পড়ে না। সাধারণত এমন সিদ্ধান্ত আমরা দেই না। শিক্ষকরা যদি একই দিনে অনুপস্থিত থাকেন, তা হলে অবশ্যই এটি অস্বাভাবিক এবং তদন্তযোগ্য বিষয়।”

এদিকে স্কুলে দেখা গেছে—অনেক শিক্ষার্থী এখনো ড্রেস না পাওয়ায় ড্রেস ছাড়া স্কুলে আসছে। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন— “আমরা এখনো স্কুলের ড্রেস পাইনি। ড্রেস না থাকায় অনেকে নিয়মিত স্কুলেও আসতে পারে না।”

সব মিলিয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতি, শিক্ষক উপস্থিতি, শৃঙ্খলা ও তদারকির ঘাটতি—সবকিছুই বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। অভিভাবক ও সচেতন মহল মনে করেন— শিক্ষক উপস্থিতি নিশ্চিত করা, অনুপস্থিতির জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করা এবং কার্যকর তদারকি চালু করাই এখন জরুরি।

প্রতিবেদক- মোঃ আমিনুল ইসলাম, জামালপুর।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...