জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব মাসুদ রানা।
বিজ্ঞাপন
অভিযোগ অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে স্বচ্ছভাবে আয়োজিত লটারিতে যাদের নাম উঠেছিল, পরে ইউএনও নিজেই সেই তালিকা পরিবর্তন করেন।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত লটারিতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে স্বচ্ছতা নিয়ে আস্থা তৈরি হয়েছিল। তবে লটারির মাধ্যমে উত্তীর্ণ ব্যক্তিদের তালিকা থেকে বহু নাম কেটে দিয়ে নতুন করে নাম সংযোজন করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগকারীরা জানান, লটারি শেষে ইউএনও কিছু মুক্তিযোদ্ধার সুপারিশে তালিকা পরিবর্তন করেন। এতে প্রকৃত সুবিধাভোগীরা বঞ্চিত হন।
এক ভুক্তভোগী বলেন, “এত সুন্দরভাবে লটারি হলো, সেনাবাহিনী ছিল—তারপর সেই তালিকা নিজেই বদলে ফেলা লজ্জাজনক।”
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানদের বক্তব্য- বিষয়টি নিয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলার একাধিক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জানান, তালিকা পরিবর্তনের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
তারা বলেন, “এখানে আমাদের কোনো হাত নেই। লটারিতে যে তালিকা উঠেছিল সেটিই দেওয়ার কথা ছিল। পরে কেন ইউএনও স্যার নিজে তালিকা পরিবর্তন করেছেন, তা আমরা জানি না।”
চেয়ারম্যানরা আরও বলেন, “মানুষ আমাদের দোষারোপ করছে, অথচ পুরো সিদ্ধান্তই ইউএনও স্যার একতরফাভাবে নিয়েছেন। আমরা চাই লটারিতে উত্তীর্ণ প্রকৃত তালিকা পুনর্বহাল করা হোক।”
তালিকা পরিবর্তনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত এবং আসল লটারি–নির্বাচিত তালিকা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।
প্রতিবেদক- মোঃ আমিনুল ইসলাম, জামালপুর।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...