Logo Logo

পিরোজপুরে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন


Splash Image

পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সংবাদ সংগ্রহের দায়িত্ব পালনকালে দৈনিক জনকণ্ঠের জেলা সংবাদদাতা নাছরুল্লাহ আল-কাফী ও নাগরিক প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি আরিফ বিল্লাহর ওপর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে পিরোজপুর শহরের টাউন ক্লাব সড়কে এ মানববন্ধন করেন জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সময় টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি জিয়াউল হক, দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সোহরাব হোসেন জুয়েল, দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন, গাজী টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি নাইম তালুকদার, দৈনিক আমার বার্তা পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মনির চৌধুরী, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের জেলা সেক্রেটারি মানজুর আজিজসহ অন্যরা।

বক্তারা বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে পরিকল্পিতভাবে একটি মহল দুই সাংবাদিকের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। তাদের মোবাইলসহ বিভিন্ন ডিভাইস ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে আহত দুই সাংবাদিক পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বক্তারা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

এর আগে রোববার ইন্দুরকানী উপজেলার চন্ডিপুর এলাকায় সুপারি কেনাবেচা ও পরিবহনসংক্রান্ত খবর সংগ্রহ করছিলেন নাছরুল্লাহ আল-কাফী ও আরিফ বিল্লাহ। বিকেলে সেখানে চন্ডিপুর ইউনিয়ন বিএনপির একটি সমাবেশ চলছিল। এই সময় সাংবাদিকরা স্থানীয় সুপারি ট্রাকে তোলা এবং বাজারসংক্রান্ত ভিডিও ধারণ করছিলেন। সমাবেশে উপস্থিতি কম থাকায় বিএনপির কিছু নেতাকর্মী মনে করেন সাংবাদিকরা তাদের ফাঁকা চেয়ারের ছবি তুলছেন—এমন সন্দেহ থেকে তারা অতর্কিতভাবে হামলা চালান। হামলাকারীরা সাংবাদিকদের দুটি মোবাইল ফোন, মাইক্রোফোন, ক্যামেরা স্ট্যান্ড, পেন ড্রাইভ, প্রেসকার্ড, মানিব্যাগ ও সঙ্গে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন; অবস্থার অবনতি হলে রাতে তাদের পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাতে আহত সাংবাদিক আরিফ বিল্লাহর ভাই শরিফ বিল্লাহ বাদী হয়ে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাসহ আটজনের নামে মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন—চন্ডিপুর (খোলপটুয়া) গ্রামের হাবিবুর রহমান শেখের ছেলে যুবদল নেতা অহিদুল ইসলাম শেখ (৩৫), দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রামের হারুন মৃধার ছেলে ছাত্রদল নেতা ফাইজুল ইসলাম তাওহিদ মৃধা (২১), পূর্ব চন্ডিপুর গ্রামের আব্দুল আউয়াল বেপারীর ছেলে তানভীর আহমেদ রাকিব (২২), উত্তর কলারন গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমান হাওলাদারের ছেলে মো. জুয়েল হাওলাদার (৪০), পশ্চিম কলারন গ্রামের আলি আকবার তালুকদারের ছেলে বিএনপি কর্মী শাহাদাৎ হোসেন হিরু তালুকদার (৪৮), পশ্চিম চরবলেশ্বর গ্রামের মেনহাজের ছেলে যুবদল নেতা ফারুক হোসেন (২৮) ও আল-আমিন শেখ (৪২)সহ আরও ২০–২৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি।

ইন্দুরকানী থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোস্তফা জাফর জানান, এ ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...