নিহত শিশু ইয়াছিন শেখ।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বড়বাড়ির পাশের বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ১টার দিকে মারা যায় ১২ বছর বয়সী ইয়াছিন শেখ।
হত্যাকাণ্ডের শিকার ইয়াছিন বরইহাটি বড়বাড়ি গ্রামের আশরাফ আলী শেখের ছেলে এবং বরইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। নিহতের মরদেহ পোস্টমর্টেম শেষে আজ বুধবার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অভিযুক্ত রিফাত শেখ একই গ্রামের জামাল শেখের ছেলে এবং বরইহাটি আইডিয়াল হাই স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বরইহাটি আইডিয়াল হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র রাব্বী শেখ জানান, রিফাতসহ চারজন ব্যাডমিন্টন খেলছিল। পাশে বসে ইয়াছিনসহ ৩–৪ জন খেলা দেখছিল। খেলায় রিফাত পরাজিত হলে সে রাগান্বিত হয় এবং একপর্যায়ে ইয়াছিনের নতুন স্যান্ডেলে ধুলাবালি ছিটিয়ে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইয়াছিন রিফাতকে ঘুষি মারে। এরপর রিফাত হাতে থাকা ব্যাডমিন্টন র্যাকেট দিয়ে ইয়াছিনকে আঘাত করে। র্যাকেট ভেঙে গেলে র্যাকেটের রড দিয়ে কোপ দেয়। রডটি কানের নিচ দিয়ে ঘাড় ভেদ করে বের হয়ে আসে, ঘটনাস্থলেই ইয়াছিন গুরুতর আহত হয়।
মুকসুদপুর উপজেলার সিন্ধয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) আলমগীর হোসেন বলেন, “ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করেই নৃশংস এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। র্যাকেট ভেঙে গেলে রড কানের নিচ দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে তাকে রাজৈর হাসপাতালে নেওয়া হলেও পরে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়, যেখানে রাত সোয়া ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।”
তিনি আরও জানান, ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এখনো কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
ইয়াছিনের ফুফু নাজমা বেগম ও চাচা দেলোয়ার শেখ বলেন, “এটি একটি মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।” এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইয়াছিনের মরদেহ গ্রামে পৌঁছেনি। মরদেহ এলে জানাজা শেষে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবার জানায়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...