বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাগুফতা হক। তিনি ১৩০ জন কৃষকের হাতে বিনামূল্যে বীজ, ডিএপি ও এমওপি সার তুলে দেন।
বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায়, অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মুক্তা মণ্ডল, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা দেবাশীষ দাস, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু তাহের হেলাল, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা, স্থানীয় সাংবাদিক, এসএপিপিও এবং বিভিন্ন গ্রামের ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণীরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দোলন চন্দ্র রায় জানান, রবি মৌসুমে উফশী ও হাইব্রিড ধানের আবাদ বৃদ্ধি এবং উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৩০ জন কৃষকের প্রত্যেককে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় উপজেলার আরও পাঁচ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে দুই কেজি করে হাইব্রিড জাতের বীজ বিতরণ চলছে।
তিনি বলেন, “কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো কৃষকের উৎপাদন ব্যয় কমানো, স্বল্প খরচে উন্নত জাতের ধানের আবাদ সম্প্রসারণ এবং উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা আরও জোরদার করা। সরকার কৃষকের পাশে আছে এবং থাকবে—এ কর্মসূচি তারই প্রমাণ।”
বীজ ও সার বিতরণ শেষে প্রধান অতিথি ইউএনও সাগুফতা হক বলেন, “কৃষকই দেশের প্রাণ, কৃষিই আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি। কোটালীপাড়ার কৃষকেরা খাদ্যশস্য উৎপাদনে যে ভূমিকা রাখছেন, তা শুধু উপজেলার চাহিদাই পূরণ করছে না—জাতীয় পর্যায়েও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করছে। শস্য উৎপাদনে কৃষকেরা আরও সচেতন, উদ্যমী ও প্রযুক্তিনির্ভর হতে পারে—এ লক্ষ্যে সরকার সবসময় কাজ করছে।”
তিনি আরও বলেন, “কৃষককে শক্তিশালী না করলে দেশের খাদ্যব্যবস্থা শক্তিশালী হবে না। তাই প্রণোদনার এই ধারা অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি কৃষক যেন যথাসময়ে বীজ ও সার পায় এবং উৎপাদন ব্যয় কমাতে পারে—সেটাই আমাদের প্রচেষ্টা।”
পিঞ্জুরী ইউনিয়নের চিতশী গ্রামের কৃষক মহিউদ্দিন দাড়িয়া সরকারের এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “বিনামূল্যের বীজ ও সার পাওয়ায় আমরা ক্ষুদ্র কৃষকেরা রবি মৌসুমে আরও বেশি চাষাবাদ করতে পারব। এতে উৎপাদন খরচ কমবে এবং ফসলের উৎপাদন বাড়বে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...