বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কবিরহাট বাজারে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
কিছু দিন আগে আসনটিতে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ফখরুল ইসলামকে। একই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ। প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে আবেদের অনুসারীরা গত কয়েক দিন ধরে কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট এলাকায় মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ করে আসছেন।
বুধবার বিকেলে আবেদকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে তার অনুসারীরা কবিরহাট সরকারি কলেজের সামনে জড়ো হন। পরে কাফনের কাপড় পরে বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় একই স্থানে ফিরে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ সময় তারা বিএনপির ঘোষিত প্রার্থীকে বয়কট এবং আবেদকে মনোনয়ন প্রদানের দাবিতে নানা স্লোগান দেন।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, মনোনীত প্রার্থী ফখরুল ইসলাম ‘হৃদয়ে বিএনপি ধারণ করেন না’ এবং ‘জামায়াতপন্থী’ হিসেবে পরিচিত। তাদের দাবি, জামায়াতে ইসলামীর প্রতি তার অনুরাগ ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে পক্ষপাতিত্বের কারণে তিনি স্থানীয়ভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, ফখরুল ইসলাম দলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ কয়েকজন নেতাকে নিয়ে কটূক্তিসহ হেয় প্রতিপন্ন করেছেন, যা দলের প্রতি তার অনীহা ও স্বার্থান্বেষী মনোভাবের প্রমাণ।
তারা বলেন, “ফখরুল ইসলামের মনোনয়ন বহাল থাকলে কোম্পানীগঞ্জ–কবিরহাট বিএনপির নেতাকর্মীরা হুমকির মুখে পড়বেন। তার মনোনয়ন বাতিল না হলে বৃহত্তর আন্দোলন, গণস্বাক্ষর সংগ্রহ এবং প্রয়োজনে গণপদত্যাগ করা হবে।”
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, স্থানীয়ভাবে পরীক্ষিত নেতৃত্বকে উপেক্ষা করে ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’ একজনকে মনোনয়ন দেওয়ায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাদের দাবি, ফখরুল ইসলামের জামায়াত-সম্পৃক্ততা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা রয়েছে এবং তাকে দলীয় মনোনয়ন দিলে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিএনপিকে বাঁচাতে ও ধানের শীষকে বিজয়ী করতে হলে মনোনয়নে পরিবর্তন এনে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বকে সুযোগ দিতে হবে বলেও বক্তারা মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে নোয়াখালী-৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া ফখরুল ইসলাম বলেন, “গণতান্ত্রিক দেশ, বিএনপি বড় দল। এখানে প্রত্যেকের মত প্রকাশের অধিকার আছে। কিছু দিন আগে আমি কবিরহাট বাজারে ৫০ হাজার লোক নিয়ে সমাবেশ করেছি। সেখানে যদি কিছু লোক তাদের মত প্রকাশ করে, সেটা তাদের অধিকার।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...