Logo Logo

অ্যাটর্নি জেনারেল

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালে গণতন্ত্রের মহাসড়কে ফিরল বাংলাদেশ


Splash Image

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হওয়ার রায়ের মধ্য দিয়ে দেশ গণতন্ত্রের মহাসড়কে হাঁটতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপ করে যে নির্বাচন হয়েছিল, তাতে দেশের গণতন্ত্রের কবর রচিত হয়েছিল।


বিজ্ঞাপন


বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায় সম্পর্কে জানাতে গিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আগামী দিনে নিজের ভোট নিজে দিতে পারবে। দিনের ভোট রাতে হবে না, মৃত মানুষ এসে ভোট দিয়ে যাবে না। এ রকম একটি গণতান্ত্রিক মহাসড়কে চলা শুরু বলে আমরা মনে করি।’

তিনি আরও বলেন, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যুক্ত করা ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে দেওয়া পূর্বের রায়কে সম্পূর্ণভাবে বাতিল করেছে আপিল বিভাগ। সেই রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল ও পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) নিষ্পত্তি করে আজ নতুন রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে বলা হয়েছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার-সম্পর্কিত বিধানাবলি এই রায়ের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত ও সক্রিয় করা হলো। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রয়োগযোগ্যতার ভিত্তিতেই এসব বিধান কার্যকর হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

আসাদুজ্জামান বলেন, ত্রুটিপূর্ণ বলেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়টি আজ বাতিল করা হয়েছে। আগের রায়টি লেখার ক্ষেত্রে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ও তার সহযোগীরা দণ্ডবিধির ২১৯ ধারায় অপরাধ করেছেন বলে শুনানিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায়কে বাতিল ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতভাবে এ রায় দেন।

আপিল বেঞ্চের অপর ছয় বিচারপতি হলেন— বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম ইমদাদুল হক, বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব।

এই বহুল আলোচিত আপিলে বিএনপির পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিকের পক্ষে আপিল শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী শরীফ ভূইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি পরিচালনা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...