Logo Logo

সাকিব আল হাসানকে দুদকের তলব


Splash Image

শেয়ারবাজারে ভয়াবহ কারসাজি ও বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার ও মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।


বিজ্ঞাপন


এ ঘটনাকে ঘিরে শেয়ারবাজারে সংঘটিত অর্থনৈতিক অপরাধের গভীরতা এবং অভিযুক্তদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে আলোচিত এই ক্রীড়াবিদ।

দুদক সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো একটি চিঠির মাধ্যমে সাকিব আল হাসানকে আগামী ২৬ নভেম্বর হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় সংশ্লিষ্ট অন্যান্য আসামিদেরও নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মোহাম্মদ আবুল খায়ের ওরফে হিরু অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কারসাজি করে বিনিয়োগকারীদের প্রলুব্ধ করেন এবং এর মাধ্যমে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেন। ক্যাপিটাল গেইনের মাধ্যমে অর্জিত অপরাধলব্ধ অর্থ গোপনের উদ্দেশ্যে লেয়ারিং পদ্ধতিতে তা বিভিন্ন খাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব অপরাধে সাকিব আল হাসানসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং সেই মামলার অংশ হিসেবেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

দুদক আরও জানায়, সাকিব আল হাসানসহ মামলার সংশ্লিষ্ট মোট ১৫ জন আসামিকে ২৫ ও ২৬ নভেম্বর তলব করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের আর্থিক লেনদেন, সম্পদের উৎস এবং সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিস্তারিতভাবে যাচাই করা হবে।

এর আগে গত ১৭ জুন শেয়ারবাজারে কারসাজির মাধ্যমে ২৫৬ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগে সাকিব আল হাসান ও সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের (ওরফে হিরু)সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন। অভিযোগে বলা হয়, সংঘবদ্ধ একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে শেয়ারমূল্য প্রভাবিত করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সর্বস্বান্ত করেছে।

দুদক সূত্রে আরও জানা গেছে, সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের পৃথক অনুসন্ধানও চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট তদন্তে তার আয়, সম্পদ ও ব্যাংক লেনদেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে তাকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

এদিকে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার তথ্যও সামনে এসেছে। পাশাপাশি চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি চেক ডিজঅনার মামলায় সাকিব আল হাসানসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত, যা তার বিরুদ্ধে চলমান আইনি জটিলতাকে আরও ঘনীভূত করেছে।

সব মিলিয়ে শেয়ারবাজার কারসাজি, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ এবং একাধিক মামলার অভিযোগে সাকিব আল হাসানকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বহুমাত্রিক আইনি সংকট, যা দেশের ক্রীড়াঙ্গন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও আর্থিক মহলেও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...