সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যৌথভাবে উত্থাপিত এ প্রস্তাবে বিশ্বের ১০৫টি দেশ পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর গৃহীত হয়ে আসা এই প্রস্তাবে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন, রোহিঙ্গা মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করা, মানবিক সহায়তা প্রবেশে বিধিনিষেধ আরোপ এবং বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে রোহিঙ্গাদের অব্যাহত অনুপ্রবেশ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। একই সঙ্গে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অব্যাহত সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তবে গত আট বছরে রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় গভীর হতাশার কথাও তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশ আরও জানায়, প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ভার দেশটির পক্ষে আর বহন করা সম্ভব নয়। এ প্রেক্ষাপটে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে জরুরি ও কার্যকর আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...