ছবি: প্রেস উইং
বিজ্ঞাপন
বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরপরই দুই নেতা ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংক্ষিপ্ত ও আন্তরিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বাংলাদেশে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি ও পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজখবর নেন। তিনি ভূমিকম্পে কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা তা জানতে চান এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সাক্ষাতের পর ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তাকে ১৯ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সালাম এবং গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে এই সম্মাননা জানায়।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করবেন এবং একটি গাছের চারা রোপণ করবেন। ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সফরের সূচি অনুযায়ী, আজ বিকেলেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে। এরপর বিকেল ৩টার দিকে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তিনি একান্ত বৈঠক করবেন। বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। দিনের কর্মসূচি শেষে সন্ধ্যায় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তার সম্মানে আয়োজিত একটি রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় অংশগ্রহণ করবেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...