বিজ্ঞাপন
গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের কাশিমাবাদ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় এক জামায়াত নেতার নেতৃত্বে তাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে ভুক্তভোগী ইউসুফ শেখ (৬৭) ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর রাতে ইউসুফ শেখের ঘরে রাখা ৪০ আঁটি পাট চুরি করে নেওয়ার চেষ্টা করে একই গ্রামের মোহাম্মাদ খানের ছেলে মেহেদী খান (১৮)। বিষয়টি টের পেয়ে ইউসুফ শেখ চিৎকার দিলে মেহেদীকে হাতেনাতে আটক করা হলেও এক পর্যায়ে সে পালিয়ে যায়। পরদিন রাতে এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করা হয়।
তবে ওই ঘটনার জের ধরেই শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি লিয়াকত খান ও মেহেদীর বাবা মোহাম্মাদ খানের নেতৃত্বে ২০ থেকে ৩০ জনের একটি দল ইউসুফ শেখের বাড়িতে অতর্কিতভাবে হামলা চালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে। হামলাকারীরা দেশীয় অস্ত্র ও রামদা দিয়ে বাড়ির সদস্যদের মারধর করে এবং ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
হামলায় আহত হয়েছেন ইউসুফ শেখের মেয়ে সানজিদা শেখ জিমি, ছেলে সজল শেখ, ছোট ভাই ইউনুস শেখ ও মোশারফ শেখ এবং ভাতিজা স্বাধীন শেখ। তাঁরা সবাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত সানজিদা শেখ জিমি জানান, চোরকে পুলিশে দিতে চাইলেও স্থানীয় জামায়াত নেতা লিয়াকত খান তাকে ছাড়িয়ে নেন। এরপর বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর দুই চাচাতো ভাইকে রাস্তায় পেয়ে মেহেদীসহ কয়েকজন মারধর করে। পরে ২০-৩০ জন রামদা নিয়ে বাড়িতে ঢুকে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর ও মারধর শুরু করে। এ সময় বাড়ির নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় এবং চারটি ঘর ভাঙচুর করে।
অন্যদিকে, জামায়াত নেতা লিয়াকত খান ঘটনার ভিন্ন ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেন, তাঁর ভাতিজা মেহেদী ও ইউসুফ শেখের ভাতিজা আরাফাত একসঙ্গে চলাফেরা করে। আরাফাতই মেহেদীকে পাট চুরি করে আনতে পাঠায়। পরে মেহেদীকে আটক করে মারধর করা হয়। বৃহস্পতিবার মেহেদীর মা রহিমা বেগম তাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে মারধর করা হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। তখন উভয় পক্ষের মধ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে এবং তাঁর পক্ষের পাঁচজনও আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নুরুজ্জামান বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা যাচাই শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...