বিজ্ঞাপন
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে মানিকদাহ ইউনিয়নের আদমপুর গ্রাম এবং এর আগের দিন শুক্রবার রাতে ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামে এ দুটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে মানিকদাহ ইউনিয়নের আদমপুর গ্রামে বর্তমান চেয়ারম্যান বাচ্চু মাতুব্বর ও সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ মিয়ার পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে তাদের সমর্থকদের মধ্যে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। দেশীয় অস্ত্র, ঢাল-সুরকি ও ইটপাটকেল নিয়ে দুই পক্ষ প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় বাড়িঘর ও দোকানপাটে ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগও ওঠে। আহতদের ভাঙ্গা ও সদরপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অন্যদিকে, শুক্রবার রাতে ঘারুয়া ইউনিয়নের হাজরাকান্দা গ্রামে মানবপাচারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হন। অভিযোগ রয়েছে, ইতালিতে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্য নুর আলম ও রুহুল আমিন ভাঙ্গা ও রাজৈর এলাকার ৩০–৩৫ জন যুবকের কাছ থেকে ৫–৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন এবং তাদের লিবিয়ায় আটকে রেখে পুনরায় মুক্তিপণ দাবি করেন।
শুক্রবার বিকেলে নুর আলম নিজ বাড়িতে ফিরলে ভুক্তভোগীদের স্বজনরা সেখানে গেলে জুলহাস মেম্বারের পক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এরপর এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে পাল্টা হামলা চালালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গভীর রাত পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলতে থাকে। আহতদের ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন জানান, আদমপুর ও হাজরাকান্দা গ্রামে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে উভয় এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...