বিজ্ঞাপন
বিজিবি সূত্র জানায়, শনিবার (২২ নভেম্বর) ভোর আনুমানিক ০৩.৩০ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়া ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ টহল দল সীমান্ত বিআরএম-১৮ হতে আনুমানিক ১.৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্ব দিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শুকুরের কাটি ক্যারেঙ্গাঘোনা এলাকায় অবস্থান নেয়। (জিআর নং-২৮৪৩৮৭, মানচিত্র ৮৪ সি/৪) উক্ত স্থানটি সংশ্লিষ্ট বিওপি থেকে প্রায় ১.৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
পরবর্তীতে ভোর আনুমানিক ০৪.০০ ঘটিকায় মায়ানমার দিক থেকে দুইজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেখে টহল দল তাদের দিকে অগ্রসর হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ওই চোরাকারবারিরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
এরপর ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি বাদামি রঙের বস্তার ভেতর খাকি স্কচ টেপে মোড়ানো বায়ুরোধী ০৮ কাটে মোট ৮০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আশপাশের এলাকায় আরও ব্যাপক তল্লাশি চালানো হলেও অতিরিক্ত কোনো অবৈধ মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। একই সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া চোরাকারবারিদের গ্রেফতারে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হলেও কাউকে আটক করা যায়নি।
উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি)-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, পিএসসি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পলাতক মাদক চোরাকারবারিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত ইয়াবা টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিজিবি শুধু সীমান্ত পাহারায় নয়, মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধেও সর্বদা কঠোর অবস্থান নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার রিজিয়নের রামু সেক্টরের অধীনস্থ উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সীমান্ত সুরক্ষা, মাদক দমন ও অবৈধ চোরাচালান প্রতিরোধে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করে আসছে।
প্রতিবেদক- মোহাম্মদ শাহজাহান, রামু, কক্সবাজার।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...