বিজ্ঞাপন
প্রশিক্ষণ শুরুর আগে সকল অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়। এরপর প্রশিক্ষক এ কে আজাদ প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন এবং অংশগ্রহণকারীদের কুশল বিনিময় করেন। পরিচিতি পর্বে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের নাম ও এলাকার পরিচয় উপস্থাপন করেন। একই সঙ্গে ট্রেনিংয়ের উদ্দেশ্য, প্রক্রিয়া ও দিনব্যাপী সেশনগুলোর সারসংক্ষেপ ব্যাখ্যা করা হয়।
প্রশিক্ষণের ছবি ও ভিডিও ডকুমেন্টেশনের জন্য অংশগ্রহণকারীদের সম্মতি নেওয়া হয়। এ কে আজাদ আইডিয়ার সুরক্ষানীতির পলিসি সম্পর্কে সবাইকে অবহিত করে বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় যেন কোনো নারী, শিশু বা বয়স্ক ব্যক্তি ক্ষতির সম্মুখীন না হন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
প্রধান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে প্রত্যাশা যাচাই করা হয়। তারা ভিআইপি কার্ডে নিজেদের প্রত্যাশা লিখে শেয়ার করেন। এরপর কার্যকর ফ্যাসিলিটেশন কৌশল, গুণাবলি ও প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেন প্রশিক্ষক মো. সালাউদ্দিন। অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বিভিন্ন উদাহরণ তুলে ধরেন।
পরবর্তীতে গণতন্ত্র, নির্বাচন, ভোটের গুরুত্ব এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক ভোটার এডুকেশন—“No One Left Behind” ধারণা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকেও কীভাবে ভোট প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যায় তা উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করা হয়। প্রশিক্ষকরা গণতন্ত্রকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি এবং নির্বাচনকে এর হৃদস্পন্দন হিসেবে আখ্যায়িত করে ভোটের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
এরপর অনুষ্ঠিত হয় উঠান বৈঠক সেশন। প্রশিক্ষক সালাউদ্দিন ও পিন্টু দাস রোল প্লের মাধ্যমে উঠান বৈঠক পরিচালনার সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া প্রদর্শন করেন। এতে স্বাগত বক্তব্য, পরিচিতি, উদ্দেশ্য, নির্বাচন ও ভোটের গুরুত্ব, গুজব প্রতিরোধ এবং ভোটের প্রস্তুতি ধাপগুলো তুলে ধরা হয়।
“ভাবিয়া করিও শেয়ার” শিরোনামে একটি নাটক প্রদর্শনের মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর কৌশল ও তা প্রতিরোধের পদ্ধতি উপস্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে অংশগ্রহণকারীরা দুইটি দলে বিভক্ত হয়ে নাটকটি পুনরায় মঞ্চস্থ করেন, যা প্রশিক্ষণকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
মক ভোটিং সেশনে বাস্তব ভোটকেন্দ্রের মতো পরিবেশ তৈরি করে ভোট প্রদানের প্রক্রিয়া হাতে–কলমে দেখানো হয়। নিরাপত্তাকর্মী, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, এজেন্ট, পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক ও ভোটারের ভূমিকা ভাগ করে দেওয়া হয়। একে আজাদ ও মো. সালাউদ্দিন পুরো প্রক্রিয়া ফ্যাসিলিটেট করেন এবং সহযোগিতা করেন পিন্টু দাস ও রিমা দাস। এতে অংশগ্রহণকারীরা অত্যন্ত উৎসাহ ও আগ্রহের সঙ্গে অংশ নেন।
প্রশিক্ষণ শেষে কেয়া রানা দাস ও সৌরভী দাস তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে জানান, নির্বাচন ও ভোট প্রক্রিয়া সম্পর্কে এ ধরনের বিস্তারিত ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ তারা আগে কখনো পাননি। এই প্রশিক্ষণ মাঠপর্যায়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক ভোটার শিক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তারা মত দেন।
দিনের শেষে প্রশিক্ষণের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে এ কে আজাদ অংশগ্রহণকারীদের ভবিষ্যৎ দায়িত্ব ও সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এর মধ্য দিয়ে প্রশিক্ষণ সেশনটি আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...