ছবি : আল জাজিরা থেকে (শেখ হাসিনা) সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি যৌথ দল এই অভিযান পরিচালনা করে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জব্দকৃত স্বর্ণের পরিমাণ ৮৩২.৫ ভরি। এর আগে কর ফাঁকি ও দুর্নীতির তদন্তের অংশ হিসেবে গত ১৭ সেপ্টেম্বর এনবিআরের গোয়েন্দা ইউনিট (সিআইসি) শেখ হাসিনার নামে থাকা এই দুটি লকার জব্দ করেছিল। অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখায় অবস্থিত লকার দুটির নম্বর হলো ৭৫৩ (চাবি নং ২০০) এবং ৭৫১ (চাবি নং ১৯৬)। এছাড়া গত ১০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিলের পূবালী ব্যাংক সেনা কল্যাণ ভবন শাখায় শেখ হাসিনার আরও একটি লকার (নম্বর ১২৮) জব্দ করেছিল সিআইসি।
লকার খোলার এই প্রক্রিয়াটি মূলত আদালতের সাম্প্রতিক রায়ের প্রেক্ষিতে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গত ১৭ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। ঐতিহাসিক সেই রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যও আদালত নির্দেশনা প্রদান করে। আদালতের সেই নির্দেশনার আলোকেই ফেরারি আসামিদের সম্পত্তি ক্রোক ও বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এই লকারগুলো খোলা হয়েছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার নজিরবিহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা তাদের লকার ও ব্যাংক হিসাব জব্দ করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। উদ্ধারকৃত স্বর্ণ বর্তমানে সরকারি জিম্মায় নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...