বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৪ নভেম্বর) ওই ইউপি সদস্যরা মুকসুদপুর থানায় গিয়ে ওসির কাছে আবেদন করেন বলে দাবিতে জানানো হয়। পদত্যাগকারী সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন—মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য মো. কবির মোল্যা, ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. জাহিদুল ইসলাম, ৩নং ওয়ার্ড সদস্য ঈমান আলী, ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মো. সাদিকুর রহমান সাদেক, ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মজিবর ফকির, সংরক্ষিত ১, ২ ও ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য রেহানা আক্তার লাকী এবং ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য হেনা আক্তার।
আবেদনপত্রে তারা উল্লেখ করেন, “আমরা নিম্নস্বাক্ষরকারী ০৮ নং মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্য জনপ্রতিনিধিগণ লিখিতভাবে আপনাকে অবগত করছি, আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুকসুদপুর শাখার কোনো প্রকার কার্যক্রমে বর্তমানে জড়িত নই এবং ভবিষ্যতেও থাকব না।”
এ বিষয়ে ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “এভাবে আমাদের ওসির কাছে আবেদন দেওয়াটা উচিত হয়নি। এটি সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করা উচিত ছিল। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করছি।”
অন্যদিকে ১নং ওয়ার্ড সদস্য মো. কবির মোল্যা বলেন, “আগে আওয়ামী লীগ একটি শুদ্ধ রাজনৈতিক দল ছিল, সে কারণেই আমরা রাজনৈতিকভাবে যুক্ত ছিলাম। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে দলটি নিষিদ্ধ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় আমরা মনে করছি, যুক্ত থাকলে পরিষদ কার্যক্রমে সমস্যা হতে পারে এবং জনগণের ভোগান্তি বাড়তে পারে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
তবে এ বিষয়ে মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামাল আবেদন পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “তারা থানায় এসেছিলেন এবং এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান পরিস্থিতি স্বাভাবিক। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ সংক্রান্ত কোনো লিখিত আবেদন আমি পাইনি এবং বিষয়টি আমার জানা নেই।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...