বিজ্ঞাপন
গোপালগঞ্জে ‘তওহিদ ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রগঠনে গণমাধ্যম কর্মীদেরভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা করেছে হেযবুত তওহীদ। আল্লাহর হুকুমের ভিত্তিতে রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি জানিয়ে আজ বুধবার (২৬নভেম্বর) সংগঠনের শহরের মডেল স্কুল রোডের জেলা কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় "তওহীদ ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা"রপ্রস্তাবনা তুলে ধরে সংগঠনটি। এতে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ারসাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত থেকে তাদের মুল্যবান মতামত প্রকাশ করেন।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেযবুত তওহীদের বরিশাল বিভাগীয় সভাপতি শফিকুল আলম উখবাহ। তিনি সংগঠনের সর্বোচ্চ নেতা হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম রচিত 'তওহীদ ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা' গ্রন্থের ওপর ভিত্তি করে একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র কাঠামোর ধারণা দেন।
তিনি বলেন, "স্বাধীনতার পর ৫৩ বছরে সংবিধানে ১৭ বার সংশোধনী আনা হয়েছে, অসংখ্য নতুন নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, কিন্তু জাতির কোনো মৌলিক সংকটের টেকসই সমাধান হয়নি। এর কারণহলো মানবরচিত জীবন ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থা দিয়ে কোনো ব্যক্তি বা দলের পক্ষে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। শান্তির জন্য অবশ্যই আল্লাহর দেয়াতও হীদভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রবর্তন করতে হবে। এর রূপরেখা কী হবেসেটাই আমাদের ইমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম পুস্তক আকারেতুলে ধরেছেন।"
তিনি বলেন, "ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের প্রক্রিয়ার সাথে ইসলামের বিরোধ নাই। ইসলামেও মুসল্লিদের অসন্তুষ্টি নিয়ে কেউ ইমামতি করতে পারে না, ইমাম অবশ্যই মুসল্লিদের সমর্থিত হতে হবে, তাকে নিঃশর্তভাবে আনুগত্য করতে হবে। কিন্তু সমস্যাটা হলো প্রচলিত সিস্টেমে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা পার্লামেন্টে গিয়ে নিজেরা আইন রচনা করেন। এই জায়গায় মানুষ হয়ে যায় বিধানদাতা।আমাদের কথা হচ্ছে, বিধানদাতা বা ইলাহ একমাত্র আল্লাহ। যে বিষয়ে আল্লাহর কোনো হুকুম আছে, বিধান আছে, সেখানে অন্য কেউ বিধানরচনা করতে পারবে না। এটাই আল্লাহর সার্বভৌমত্ব বা তওহীদ।আমাদের প্রস্তাবিত তওহীদ ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সকল বিষয়েন্যায়-অন্যায়ের মানদণ্ড হবে আল্লাহর বিধান।"
সংগঠনটির গোপালগঞ্জ জেলা সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলামেরসভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের বরিশাল বিভাগীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষন বিষয়ক সম্পাদক আরিফ মোহাম্মদ আলী আহসান, ঝালকাঠী জেলা সভাপতি মোঃসাফায়াত হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা নারী বিষয়ক সম্পাদক আঁখিখানম প্রমুখ।
বক্তারা আল্লাহর দেওয়া জীবনব্যবস্থা অনুসরণ করে মহানবী (সা.) যেভাবে একটি নিরাপদ ও আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তারউদাহরণ তুলে ধরেন। তারই আলোকে একটি তওহীদ ভিত্তিক আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা, গণমাধ্যম, নারীর মর্যাদা, আইনসভা ও সামাজিক সুরক্ষাসহ রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গ কীভাবে পরিচালিত হবে, তার একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র উঠে আসে আলোচনায়।
উল্লেখ্য, এ প্রস্তাবনার বিষয়ে সারাদেশে সেমিনার, গোলটেবিল বৈঠক, আলোচনা সভা, মতবিনিময় সভা করে আসছে সংগঠনটি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...