Logo Logo

গবিতে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় তদন্ত কমিটির ঘটনাস্থল পরিদর্শন


Splash Image

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) আইন বিভাগের প্রথম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী শের আলীর ওপর র্যাগিং ও শারীরিক নির্যাতনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত বিভাগীয় তদন্ত কমিটি।


বিজ্ঞাপন


বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টা-৫টা পর্যন্ত কমিটির সদস্যরা আশুলিয়ার মির্জানগর এলাকার নলামের ওই মেসে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

পরিদর্শনকালে তারা র্যাগিংয়ের কক্ষসহ পুরো বিল্ডিং ঘুরে দেখেন এবং সেখানে বসবাসকারী অন্যান্য পরিবারবর্গ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। ঘটনার সময় আশেপাশের পরিবেশ, সম্ভাব্য প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য, কক্ষের অবস্থা ও বিস্তৃত প্রেক্ষাপট তারা প্রাথমিকভাবে যাচাই করেন।

বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সভাপতি ও আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফারাহ ইকবাল বলেন, “তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থল (Scene of Occurrence) পরিদর্শনে এসেছি। অভিযোগকারী ও অভিযুক্তদের বর্ণনার মিল–অমিল যাচাই করে একটি নিরপেক্ষ ও প্রমাণভিত্তিক প্রতিবেদন তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। সত্য ও ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্তেই আমরা উপনীত হতে চাই।”

এ সময় তদন্ত কমিটির সাত সদস্যের মধ্যে ফারাহ ইকবালসহ উপস্থিত ছিলেন সদস্য তৌহিদা সরকার, মো. মনজুরুল ইসলাম ও মো. আল-আমিন। কমিটি জানায়, তারা তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জমা দেবে।

এর আগে, সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে প্রথম সেমিস্টারের (৩৩তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী শের আলীকে নলামের এক মেসে ডেকে নিয়ে যায় কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষার্থী। অভিযোগ অনুযায়ী, মধ্যরাতে তাকে প্যান্ট খুলতে বাধ্য করা হয় এবং একাধিক শিক্ষার্থী তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তার সহপাঠীরা তাকে প্রথমে আশুলিয়ার গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তাকে একটি সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে—একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি এবং আরেকটি প্রক্টরিয়াল বডি সমন্বিত কমিটি।

প্রাথমিক তদন্তে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ার ভিত্তিতে ৮ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন— অন্তু দেওয়ান (২৭ ব্যাচ), আসাদুর রহমান (৩২ ব্যাচ), আশরাফুল ইসলাম (৩২ ব্যাচ), তারিকুল ইসলাম (২৭ ব্যাচ), মেহেদী হাসান (২৮ ব্যাচ), নাঈম (৩২ ব্যাচ), মেহেদী (৩২ ব্যাচ) ও আসিফ রহমান লাবিব (২৮ ব্যাচ)।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানান, বিভাগীয় তদন্ত কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে প্রয়োজনীয় আরও একাডেমিক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...