বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট বাজার এলাকায় এ পথসভা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। ‘লাগারে লাগা ধান লাগা’—এই স্লোগানে মুখরিত জনসভায় অংশ নেয় হাজারো মানুষ।
পথসভাটি আয়োজন করে বাদাঘাট ইউনিয়ন বিএনপি ও উত্তর বড়দল ইউনিয়ন বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাদাঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ২২৪ সুনামগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আনিসুল হক।
বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন— “বিগত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের সময় আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে কারারুদ্ধ রাখা হয়েছিল। তারেক রহমানের ওপরও চালানো হয়েছিল অমানবিক নির্যাতন। তবুও তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। দেশের মানুষের জন্য আজও তারা লড়ে যাচ্ছেন।”
তিনি বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় সবার কাছে দোয়া চান এবং বলেন— “তিনি ভালো থাকলে দেশের মানুষ ভালো থাকবে।”
জনসভায় আনিসুল হক তার নির্বাচনী এলাকার মানুষের জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গীকার তুলে ধরেন। তিনি বলেন— ধানের শীষ বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী হলে তারেক রহমান দেশের উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবেন। বাদাঘাট ও মিয়ারচর নদীতে ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। হাওর অঞ্চলের ফসল রক্ষায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষা, চিকিৎসা, সড়ক, সেতু—সব খাতে বৈষম্য দূর করা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার বিষয়বস্তু জনগণের কাছে আরও বিস্তৃতভাবে তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন— “জনগণের কল্যাণে ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার তৈরি করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন— “এই আসনে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার রক্ত এক, সবাই ভাই। আমাদের দল কোনো ধর্ম বা জাতিগোষ্ঠির ভিত্তিতে রাজনীতি করে না।”
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবুল কালাম আজাদ, রাখাব উদ্দিন, গোলাম নুর, বেলায়েত হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. শাহীন মিয়া, যুবদল নেতা জালাল মিয়া, রফিকুল ইসলাম, এনামুল করিম, কামরুল মিয়া, ফেরদৌস আলম প্রমুখ। এছাড়া জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
