অভিযুক্ত মোরসালিন শেখ।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) রাতে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের পাকুরতিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মোরসালিন শেখ পাকুরতিয়া গ্রামের সাফায়েত শেখের ছেলে।
ড্রেজার ম্যাকানিক সেলিম তালুকদার বলেন, প্রায় ১৫ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ড্রেজার ম্যাকানিক হিসাবে কাজ করি। ৫ মাস পর গত বুধবার (২৬ নভেম্বর) সিলেট থেকে আমার গ্রামের বাড়ি পাকুরতিয়া গ্রামে আসি। শুক্রবার রাতে আমার গ্রামের সাফায়েত শেখের ছেলে মোরসালিন শেখ আমাদের বাড়িতে এসে নিজেকে ছাত্রদল নেতা পরিচয় দেয়। কথার একপর্যায়ে মোরসালিন বলে আমার বিরুদ্ধে নাকি ঢাকার কোতয়ালী থানায় মামলা হবে, থানা থেকে মোরসালিনকে ফোন দিয়েছিলো। তাই বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য তাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, "আমি কোন দল করি না, আমার নামে কেন মামলা হবে" এ নিয়ে উচ্চস্বরে বাক-বিতণ্ডা চলাকালে আশপাশের প্রতিবেশীরা এসে জড়ো হয়। তখন ৫০ হাজার টাকা দাবির কথা জানালে এলাকাবাসী মোরসালিনকে গণধোলাই দিয়ে আটক করে রাখে। পরে তার পরিবারের লোকজন এলাকাবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
অভিযুক্ত মোরসালিন শেখের মুঠোফোনে কল করে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৫০ হাজার টাকা দাবির কথা অস্বীকার করে বলেন, সেলিম তালুকদারদের বাড়ির এক ব্যক্তি আমাকে জানায় সেলিম মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। তাই তাকে আমি সতর্ক করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে কোন টাকা দাবি করিনি। আমার বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা কথা রটাচ্ছে। ছাত্রদল করেন জানিয়ে মোরসালিন বলেন, আমি দলের কোন পদে নেই।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের আহবায়ক লাবিব হাসান বলেন, মোরসালিন নামের যে ব্যক্তি টাকা চেয়ে ধরা পড়েছে, সে ছাত্রদলের ইউনিয়নের সদস্যও নয়। আর অতীতে মোরসালিন ছাত্রলীগ করতেন। কিন্তু রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ছাত্রদলের কিছু মিছিল-সমাবেশে অংশ নিতেন মাত্র। যদি সে ছাত্রদল পরিচয় ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করে থাকে তাহলে সিনিয়র নেতাদের সাথে কথা বলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...