বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৯ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুর সদর উপজেলা মিলনায়তনে ‘শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় গুণগত মানোন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বৃহত্তর ফরিদপুরের পাশাপাশি মাদারীপুর, রাজবাড়ী, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও ফরিদপুরে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তারা অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদ।
সি আর আবরার বলেন, “শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। এর জন্য যে পরিমাণ সম্পদ ও অর্থ বিনিয়োগ প্রয়োজন ছিল, তা আমরা দিতে পারিনি। বর্তমান সরকার ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’ অবস্থায় ভঙ্গুর অর্থনীতি নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে। তারপরও আমরা সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছি।”
তিনি শিক্ষকদের কল্যাণ তহবিল ও অবসরভাতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “এগুলো শিক্ষকদের প্রাপ্য। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে দিতে চাই। আগে এই কাজগুলো স্বেচ্ছাচারীভাবে করা হতো। এ কারণে শিক্ষকদের সময়মতো অর্থ বিতরণ সম্ভব হচ্ছিল না। আমাদের হাতে টাকা থাকলে সমস্যার কোনো প্রশ্নই ওঠে না, কিন্তু যে ব্যাংকে রাখা হয়েছিল, সেখানে টাকা নেই। আমরা অত্যন্ত সীমিত পরিস্থিতির মধ্যেই কাজ চালাচ্ছি।”
শিক্ষকদের দায়িত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, “শিক্ষকরা পথপ্রদর্শক। তারা আলো জ্বালান। মা–বাবা ও অভিভাবকরা শিক্ষকদের হাতে সন্তানদের তুলে দেন। তাই শিক্ষা পরিবারের দায়িত্ব অপরিসীম। শিক্ষার্থীদের শুধু অক্ষরজ্ঞান শেখানোই যথেষ্ট নয়; তাদের নৈতিকভাবে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা প্রয়োজন। যাতে তারা নিজেদের ঋদ্ধ করতে পারে, স্বপ্ন দেখতে পারে এবং দেশ ও বিশ্বের জন্য কিছু দিতে পারে।”
শিক্ষক রাজনীতির নেতিবাচক প্রভাব তুলে ধরে সি আর আবরার বলেন, “উচ্চপর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দেখলেই বোঝা যায়, শিক্ষকদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে কীভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো নষ্ট হয়েছে। যারা রাজনীতি করতে চান, অবশ্যই করতে পারেন। কিন্তু শিক্ষাকেন্দ্রগুলোকে রাজনীতির মাধ্যমে কলুষিত করা উচিত নয়। আমরা মনে করি, শিক্ষাকেন্দ্রগুলোকে রাজনীতিমুক্ত রাখতে শিক্ষকদের বড় দায়িত্ব রয়েছে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্লা। এতে বক্তব্য রাখেন মাউশির ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক ফকীর মোহাম্মদ, বি এম আব্দুল হান্নান, যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম সাত্তার, অধ্যাপক রিজভী জামান, অধ্যাপক কাকলি মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।
ফরিদপুর সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মফিজ ইমাম মিলন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃধা রেজাউল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...